তেলঙ্গানায় সংবিধানের শাসন নেই। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মর্জিমাফিক এই রাজ্য সরকার চলছে। তেলঙ্গানাকে এ দেশের আফগানিস্তান বলে আখ্যা দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির সভানেত্রী ওয়াইএস শর্মিলা। রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁকে তালিবানের সঙ্গেও তুলনা করেছেন কটূক্তির অভিযোগে আটক হওয়া এই নেত্রী।
রবিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে শর্মিলার মন্তব্য, ‘‘তিনি (কেসিআর) হলেন একনায়ক, অত্যাচারী শাসক। এখানে (তেলঙ্গানায়) দেশের সংবিধানের শাসন চলছে না। এখানে কেবলমাত্র কেসিআরের সংবিধান চলে। তেলঙ্গানা হল ভারতের আফগানিস্তান।’’
এই মন্তব্যের আগেই অবশ্য শনিবার মেহবুবাবাদের এক জনসভায় সেখানকার বিধায়ক শঙ্কর নায়েকের বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগে ‘বিপত্তি’তে পড়েছেন শর্মিলা। শনিবার মেহবুবাবাদের জনসভায় স্থানীয় বিধায়ক তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান শঙ্কর নায়েককে আক্রমণ করেন শর্মিলা। এলাকাবাসীর কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনওটিই পূরণ করতে পারেননি মেহবুবাবাদের বিধায়ক। সংবাদমাধ্যমের দাবি, জনসভায় ভাষণে বিধায়কের উদ্দেশে শর্মিলা বলেন, ‘‘এখানকার মানুষকে বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আপনি। যেগুলির একটিও পূরণ হয়নি। আপনি যদি নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারেন, তা হলে আপনি নপুংসক।’’ এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন বিধায়কের সমর্থকেরা। মেহবুবাবাদে ধর্নায়ও বসেন তাঁরা। এর পর কটূক্তির অভিযোগে রবিবার শর্মিলাকে আটক করে তেলঙ্গানা পুলিশ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে তাঁকে মেহবুবাবাদ থেকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছেড়ে নয়া দল গড়েছিলেন অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির মেয়ে শর্মিলা। দাদা জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হওয়ায় ওই পদক্ষেপ বলে দাবি। ওই বছর থেকেই তেলঙ্গানা জুড়ে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু করেছেন শর্মিলা। তবে বিধায়কের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে তাঁর পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন শঙ্করের সমর্থকেরা। শনিবার শর্মিলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর সময় ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেন তাঁরা।