প্রতীকী চিত্র।
করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েছিলেন প্রতিষেধক নিতে। কিন্তু সেখানে পুলিশের সঙ্গে গোলমালের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন এক তরুণ। উত্তরপ্রদেশে বাগপতে গত কালের এই ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরেই ১০ জন পুলিশকর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পুলিশকর্মীদের মধ্যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলাও করা হয়েছে।
গত কাল রাতে গ্রামের ভিতরে একটি গাছে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিজন জানান, ওই ব্যক্তি করোনার প্রতিষেধক নিতে গিয়েছিলেন। কোনও কারণ ছাড়াই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করেন। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ওই তরুণ বাড়ি ফেরার পরেও ফের পুলিশি চাপে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন।
গত কাল দুপুরে বাগপতের ওই টিকাকরণ কেন্দ্রের ৯০ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দু’জন পুলিশকর্মী এক ব্যক্তিকে ধরে রেখেছে। ধস্তাধস্তির পরে ওই তরুণ কোনওক্রমে টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়।
মৃতের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, টিকাকরণ কেন্দ্রে এক চিকিৎসাকর্মী তাঁর ছেলেকে টিকা নেওয়ার জন্য ডাকলেও বাধা দেন এক পুলিশকর্মী। তার পরেই শুরু হয় বচসা।
মৃতের বাবার অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে তাঁর ছেলেকে ধাক্কা দেয়। কেন তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হল, জানতে চাইলে টেনে-হিঁচড়ে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এর পরে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। সেই সময়ে কোনও মতে সেখান থেকে ছেলেকে বার করে আনেন তাঁর বাবা। তার পরেও নিস্তার মেলেনি। সন্ধেবেলায় তাঁদের গ্রামের বাড়ি ঘিরে ধরে বহু পুলিশ। ওই তরুণের মাকেও পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ওই তরুণ। পরে গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মেলে তাঁর দেহ।
এই ঘটনার পরে বাগপতের পুলিশ প্রধান অভিষেক সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ১০ জন পুলিশকর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy