তিরুঅনন্তপুরম পুর-নিগমের বাম বোর্ডের মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রন। ফাইল চিত্র।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার রাজনীতি যখন উত্তপ্ত, সেই সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগ ঘিরেই তুলকালাম কেরলে! বাংলায় অভিযুক্ত শাসক তৃণমূল কংগ্রেস, কেরলে সেই জায়গায় শাসক সিপিএম! কেরলে অবশ্য বাস্তবিক নিয়োগ নয়, নিয়োগের সুপারিশ ঘিরে হইচই বেধেছে। যার জেরে ভিজিল্যান্স তদন্ত হচ্ছে এবং তার ফলের উপরেই নির্ভর করছে দেশের কনিষ্ঠতম মেয়রের ভবিষ্যৎ।
তিরুঅনন্তপুরম পুর-নিগমের বাম বোর্ডের মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রনের নামে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক বেধেছে। মেয়রের লেটারহেডে সিপিএমের তিরুঅনন্তপুরমের জেলা সম্পাদক আনাভুর নাগাপ্পনকে লেখা ওই চিঠিতে পুরসভার কিছু অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য কী করণীয়, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অস্থায়ী পদে ‘নিজেদের লোক’ বসানোর জন্য দলের কাছে নামের সুপারিশ চেয়েছেন সিপিএমের মেয়র! ওই অস্থায়ী পদে নিয়োগ ঘিরে টাকার লেনদেন হয় বলেও তাদের অভিযোগ। মেয়র আর্যা অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, ওই চিঠি ভুয়ো। পুলিশের অপরাধ দমন শাখার তদন্তেও নিজের বিবৃতিতে আর্যার দাবি, লেটারহেড ও সই তাঁরই। কিন্তু ছবিতে আসা চিঠির তারিখ ও বিষয়বস্তু জাল করা হয়েছে। পুরসভার নথিতেও ওই তারিখে ওই ধরনের কোনও চিঠির উল্লেখ পায়নি অপরাধ দমন শাখা। প্রাথমিক রিপোর্ট জমাও দিয়েছে তারা।
এসএফআই থেকে উঠে আসা আর্যা দেশের মধ্যে সব চেয়ে কমবয়সী মেয়র হিসেবে তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার দায়িত্ব পেয়ে নজরে এসেছিলেন। এখন এমন বিতর্কে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁর দল। সচরাচর এমন ঘটনায় সিপিএম দলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত বা কমিশন করে। কিন্তু সিপিএম সূত্রের খবর, এই ক্ষেত্রে ভিজিল্যান্স তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিপিএমের তিরুঅনন্তপুরম জেলা কমিটি তো বটেই, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আর জেলা সম্পাদক নাগাপ্পন যে হেতু তদন্তরকারী এবং দলকে জানিয়েছেন এমন কোনও চিঠি তাঁর কাছে আসেইনি, তাই আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন মেয়র আর্যা।
কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর জি কে শ্রীকুমার পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ করেছেন ভিজিল্যান্স দফতরের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে সারবত্তা কিছু পাওয়া গেলে ভিজিল্যান্স মামলা রুজু করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে। সেই প্রাথমিক রিপোর্টেরই অপেক্ষা করছে সিপিএম। পাশাপাশি, পুলিশের অপরাধ দমন শাখাও তদন্তে নেমে আর্যা এবং নাগাপ্পনের বয়ান নিয়েছে। পুরসভায় কাউন্সিলরদের দলের সচিব হিসেবে সিপিএমের তরফে নিযুক্ত এক কর্মীর ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘চিঠির প্রেরক ও প্রাপক, দু’পক্ষই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। প্রশাসনিক স্তরে সব রকম তদন্তই হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে কী আসে, দেখা যাক। তার পরে মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy