ফাইল চিত্র।
হাথরসের ঘটনার পরেও যে বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবারের অন্দরমহলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রভাব-প্রতিপত্তি টোল খায়নি, তার প্রমাণ মিলল। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র যোগীকেই বিহারে দলের তারকা প্রচারক হিসেবে প্রচারে নামাচ্ছে দল।
বিজেপি বিহারের তারকা প্রচারক হিসেবে যে ৩০ জনের তালিকা তৈরি করেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নড্ডা, রাজনাথ সিংহদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র যোগীর নাম রয়েছে। হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছিল। হাথরসের জেরে বিহারের দলিত অধ্যুষিত আসনে বিজেপিকে সমস্যায় পড়তে হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, যোগীকে বিজেপি ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে। তারকা প্রচারকদের তালিকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রঘুবর দাস ও মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফডণবীস। ফডণবীসকে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে বিহারের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা আজ থেকেই বিহারে প্রচার শুরু করে দিয়ে একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশংসা করেছেন।
উল্টোদিকে কংগ্রেস বিহারের নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে রাহুল গাঁধীর আস্থাভাজন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাকে। তিনিই ১৪ জনের কমিটির প্রধান। সনিয়া গাঁধী প্রতিদিন দল পরিচালনার জন্য যে কমিটি তৈরি করেছেন, রণদীপ তারও সদস্য। কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি গুলাম নবি আজাদ, রাজ বব্বরের মতো ‘বিক্ষুব্ধ’ হয়ে চিঠি লেখা নেতারাও স্থান পেয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন রাজস্থানের সচিন পাইলটও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy