কর্নাটকে আংশিক প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হতেই শুরু বিক্ষোভ-অসন্তোষের পালা। — ফাইল ছবি।
কর্নাটক বিধানসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৮৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর এই আংশিক তালিকা ঘোষণা হতেই ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণের রাজ্যে। এত দিন ধরে চেপে রাখা অসন্তোষ প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন লক্ষ্মণ সাভাদি। কর্নাটকের ঘরোয়া সমীকরণে লক্ষ্মণ ইয়েদুরাপ্পা-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত লক্ষ্ণণ। তিনি বোম্মাই সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর দল ছাড়ার ঘোষণার প্রভাব পড়েছে বিজেপির অন্দরেও। তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন রাজ্যের নেতারা। তবে এই প্রথম নয়, আংশিক তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ইতিউতি বিক্ষোভ-অসন্তোষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে।
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারকেও এ বার টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাতে ক্ষুব্ধ জগদীশ দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানেই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হেস্তনেস্ত করতে চান তিনি। অন্য দিকে, নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে চিঠি দিয়েছেন শিবমোগার বিজেপি বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পা। তিনি জানিয়েছেন, এ বার আর ভোটে লড়বেন না তিনি।
যে হারে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কপালে ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজারদের। কারণ, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব যে সরাসরি ভোটের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হিমাচল প্রদেশ। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রবল প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া। দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার কর্নাটক বিজেপি। প্রার্থিতালিকা প্রকাশের সময় সে বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে নড্ডা, অমিত শাহদের। সব মিলিয়ে কর্নাটক পুনর্দখলের স্বপ্নকে আপাতত শিকেয় তুলে প্রার্থী-কাজিয়া মেটাতেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy