২০২৩ সালে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার বার্তা শি জিনপিংয়ের। ফাইল চিত্র।
অতিমারি আবহেই শুরু হয়েছিল কূটনৈতিক তৎপরতা। শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানালেন, ২০২৩ সালেই ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেন তাঁরা।
ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকাকে জল, সড়ক, রেল, পাইপলাইন এবং আকাশপথে যুক্ত করতে চিনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর দ্বিতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৯-এর মার্চ মাসে। আমন্ত্রণ পেয়েও ভারত তাতে যোগ দেয়নি। গালওয়ান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের তরফে নয়াদিল্লিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে কূটনৈতিক মহলে।
দীর্ঘ দিন ধরেই নয়াদিল্লির আপত্তি রয়েছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পের একটি নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) নামের এই রাস্তা চিন অধিকৃত উইঘুর এলাকা শিনজিয়াংয়ের কাশগড়কে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের গ্বদর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে। ওই রাস্তার একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকার ভিতর দিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ বলে স্বীকার করে না ভারত। তাই নয়াদিল্লির যুক্তি, এই রাস্তা তৈরি করে ভারতের সার্বভৌমত্বে ভাগ বসিয়েছে বেজিং।
করোনা পরিস্থিতিতে নেপাল, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলির সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর আর এক অংশ ‘ট্রান্স হিমালয়ান কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক’ (টিএইচসিএন) নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে বেজিংয়ের। ভারতের সীমান্তের অদূরের এই প্রস্তাবিত পথ ভবিষ্যতে নয়াদিল্লির ‘মাথা ব্যথার’ কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy