প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ‘ক্ষত’ এখনও পুরোপুরি সারেনি। ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে তেমন ইতিবাচক সম্ভাবনা দেখছে না বিশ্ব ব্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি’ বিষয়ক সাম্প্রতিক বৈঠকে বিশ্বব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৬.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে।
গত জুন মাসে ‘বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা’ (গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস) সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই রিপোর্টে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। এ বারের পূর্বাভাসে তা আরও ১ শতাংশ কমে গেল। প্রসঙ্গত, অতিমারির অভিঘাতে কাটিয়ে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্টে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেও ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু গত এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সংশোধিত রিপোর্টে ভারতে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। জুনের রিপোর্টে তা আরও ০.৫ শতাংশ কমানো হয়েছিল। এ বার কমল আরও ১ শতাংশ।
তবে মন্দাক্রান্ত শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বৃদ্ধির হার ভাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার বিভাগের প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভাল। তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধির হারও বেশি।’’
ভারত পরিষেবা ক্ষেত্র এবং পরিষেবা সংক্রান্ত রফতানিতে উন্নতি করেছে বলে জানিয়েছেন টিমার। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ না বাড়া এবং মুদ্রানীতি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন, সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কা এবং উন্নত দেশগুলিতে বৃদ্ধির হার কমার প্রভাব ভারতে পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy