হায়দরাবাদের শান্তিপল্লি এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচতলার ছাদ ভেঙে চতুর্থতলায় পড়ে। তার জেরে ভেঙে পড়ে তৃতীয়তলার ছাদও। ছবি: সংগৃহীত।
হায়দরাবাদের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের ছাদ ভেঙে মারা গেলেন ২জন শ্রমিক। রবিবার ভোরে এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ১ জন। পুলিশের অভিযোগ, অনুমোদন ছাড়াই ওই বহুতলে বেআইনি ভাবে পাঁচতলা তৈরি করা হয়েছিল। তার ছাদ ভেঙেই বিপত্তি ঘটে। ওই বহুতলের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া ৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ হায়দরাবাদের শান্তিপল্লি এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের পাঁচতলার ছাদ ভেঙে চতুর্থতলায় পড়ে। তার জেরে ভেঙে পড়ে তৃতীয়তলার ছাদও। ঘটনার সময় পাঁচতলার ছাদে ৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। হুড়মুড়িয়ে একের পর এক ছাদ ভেঙে পড়ায় তাঁরা সকলেই নীচে পড়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী এবং পুলিশের আধিকারিকেরা। উদ্ধারকাজে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (ডিআরএফ)-ও।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কুকটপল্লি থানা এলাকায় ওই বহুতলের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছিলেন ৫ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকিদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’’
গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (জিএইচএমসি) এলাকার ওই বহুতলের চতুর্থ এবং পঞ্চমতলটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বহুতলটির তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে জিএইচএমসি। তবে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে চতুর্থতলটি তৈরি করেন ওই বহুতলের মালিক। সেটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই পঞ্চমতলটির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে এই দুর্ঘটনা হয়েছে।’’ পুলিশের আরও দাবি, ‘‘সপ্তাহখানেক আগে এই বহুতলের নির্মাণকাজ বন্ধ করার নোটিস দেয় জিএইচএমসি। তা সত্ত্বেও এখানে কাজ চলছিল। বহুতলের মালিকের বিরুদ্ধে এর দায় চাপানো হবে।’’
প্রশাসনের তরফে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুকটপল্লি থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy