মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের আওতায় সরকারি খরচে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
গণবিবাহের আগে কনেরা অন্তঃসত্ত্বা কি না, পরীক্ষা করে দেখা হল। বেশ কয়েক জনের পরীক্ষার ফল ইতিবাচকও এল। বাতিল করে দেওয়া হল তাঁদের বিয়ে। এই ঘটনা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান গণবিবাহ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পে বিবাহে ইচ্ছুক অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে জড়ো করে বিয়ের বন্দোবস্ত করে দেয় সরকার। সরকারের খরচে গণবিবাহ সম্পন্ন হয়। এই গণবিবাহ প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছে রাজ্যে সরকার।
গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ/ নিকাহ্ যোজনার আওতায় গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে। ২১৯ জন কন্যা সেই আসরে বিয়ের জন্য আগে থেকেই নাম নথিভুক্ত করিয়ে রেখেছিলেন। পাত্রও ঠিক ছিল সকলের জন্য। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের আগে কনেদের প্রত্যেককে অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা করানো হয়। কোনও গণবিবাহে এমন পরীক্ষা করানোর নিয়ম নেই।
পরীক্ষা করে দেখা যায়, পাঁচ জন তরুণীর পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে। অর্থাৎ, তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। তাঁদের বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বাতিল হওয়া কনেদের অভিযোগ, বিয়ে স্থির হয়েছে জেনে হবু স্বামীর সঙ্গে তাঁরা থাকতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তার জন্য যে আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে, বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, ভাবতে পারেননি কেউ। তাঁদের আরও অভিযোগ, সরকারের তরফে কেন তাঁদের বিয়ে বাতিল করা হল, তার কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের চৌহান সরকারকে এক হাত নিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বেআইনি ভাবে গণবিবাহের আসরে মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হল? কে-ই বা এই পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন?
স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, ‘‘অতীতে কখনও এ ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। এটা মহিলাদের অপমান। যাঁদের বিয়ে বাতিল হল, তাঁরা এখন কী করবেন, কোথায় যাবেন?’’
ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং রক্তাল্পতা বা অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করা হয়। অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হয়েছে। ওই মহিলাদের বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy