প্রতীকী ছবি।
কিশোরীকে গণধর্ষণের পর জ্বলন্ত ইটভাটায় ফেলে দিতে দুই অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিলেন মহিলারাই। রাজস্থানের ভিলওয়ারার ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
ভিলওয়ারার পুলিশ সুপার আদর্শ সিধু শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে জানান, তদন্তের পর জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ১০ জন জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছয় পুরুষ এবং চার মহিলা। ঘটনাচক্রে, যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সাহায্যের অভিযোগ উঠেছে তাঁরা অভিযুক্তদের স্ত্রী, মা এবং বোন। এক নাবালকও জড়িত এই ঘটনায়। পুলিশ সুপার বলেন, “এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার এবং এক জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।” ধৃতেরা হলেন, কালু লাল, কানহা, সঞ্জয় কুমার এবং পাপ্পু। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কালু এবং কানহাই মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, অভিযুক্তদের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, কিশোরীকে যখন জ্বলন্ত ইটভাটায় ফেলা হয়েছিল সে তখনও বেঁচে ছিল। তদন্তে এমনই পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া কিশোরীকে যে গণধর্ষণ করা হয়েছে তারও প্রমাণ মিলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ইটভাটায় নিয়ে আসা হয়। চুল্লির মুখ খুলেছিলেন মহিলারাই। শুধু তাই-ই নয়, তাঁরাই কিশোরীকে ভাটায় ফেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। তবে গণধর্ষণের সময় মহিলারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে দুই ব্যক্তি কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। তবে আর কেউ জড়িত কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ছাগল চরাতে গিয়ে বুধবার নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কোটরা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী। তার পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইটভাটার সামনে থেকে তার গয়না এবং ইটভাটার ভিতর থেকে পোড়া দেহাংশ উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কোটরা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরকে (এএসআই) সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিশোরীর পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করাতে গেলে ওই পুলিশ আধিকারিক তা নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এর পরই কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগে এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুক্রবার রাজস্থানের এই গণধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গও ওঠে সংসদে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy