অনটনের বোঝা সহ্য করতে না পেরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তরুণী। প্রতীকী ছবি।
অক্ষয় কুমারের ‘গব্বর’ ছবির ঘটনাক্রম যেন ফিরে এল দিল্লিতে। রোগীর পরিবারের হাতে পাহাড়প্রমাণ টাকার বিল ধরাল হাসপাতাল। অথচ, টাকার অভাবেই তরুণী আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন।
অভাবী সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। অনটনের বোঝা আর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তরুণী। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চেষ্টা সফল হয়নি। পরিবার এবং পাড়া-প্রতিবেশী এসে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতাল তাঁর হাতেই ৪ লক্ষ টাকার বিল ধরাল হাসপাতাল।
ঘটনাটি দক্ষিণ দিল্লির। ৩৬ বছর বয়সি এক তরুণী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গত ১০ ডিসেম্বর। তাঁর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি হঠাৎ দেখতে পান, তাঁর মেয়ে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। একটি সুইসাইড নোটও মেলে। যেখানে লেখা ছিল, সংসারে টাকাপয়সার অভাব তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাড়া-প্রতিবেশী ডেকে সঙ্গে সঙ্গে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবা। প্রথমে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে চিকিৎসা করতে দেরি করা হচ্ছিল। তাই দক্ষিণ দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তরুণীকে।
তরুণীর বাবা বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালে প্রথমেই আমাদের ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। তার পর আরও ১০ হাজার টাকা চান কর্তৃপক্ষ। কোনও রকমে প্রতিবেশী এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করে সেই টাকা আমরা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি চিকিৎসা খরচ বাবদ মোট বিল হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। কী ভাবে এত টাকা দেব জানি না।’’
তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনি আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে মিনিট পাঁচেকের দেরি হলে আর তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হত না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ দিকে, হাসপাতালের খরচ কী ভাবে জোগাড় করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় তরুণীর পরিবার। প্রতি দিন খরচের অঙ্ক বেড়েই চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy