থানার ১০০ মিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। দেড় দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও অধরা অভিযুক্ত। পুণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাসস্ট্যান্ডের দফতরে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। মহিলা পেশায় পরিচারিকা। পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি পুণের স্বরগেট বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন। সাতারার ফালটন গ্রামে তাঁর দেশের বাড়ি। সেখানে কোন বাস যাবে, অভিযুক্ত তাঁকে দেখিয়ে দেন। কিন্তু সেই বাসের ভিতরে আলো বন্ধ ছিল। অভিযুক্ত জানান, বাসের ভিতরে অন্য যাত্রীরা ঘুমোচ্ছেন। তাই আলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এর পর মহিলা বাসে উঠতেই লাফিয়ে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন অভিযুক্ত। ভিতরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু দেড় দিন কেটে গেলেও তাঁকে ধরা যায়নি। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় বাসস্ট্যান্ড কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকারকে তুলোধনা করছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মহিলাদের বিনামূল্যে নানা পরিষেবা দিচ্ছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ। এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, ‘‘সমাজবিরোধীরা কাউকে ভয় পাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র দফতর পুণেতে অপরাধ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’’ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার তরফে সংশ্লিষ্ট বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার দিনভর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত থেকেছে পুণে।