প্রতিবেশীর অনুরোধে তাঁর দেওয়া আবর্জনার ব্যাগ ফেলে এসেছিলেন যুবক। জানতেন না, সেই ব্যাগে রয়েছে এক সদ্যোজাতের নিথর দেহ। সেই ব্যাগের সূত্র ধরেই শেষমেশ প্রকাশ্যে এল ধর্ষণকাণ্ড। গ্রেফতার হলেন অটোচালক এক ব্যক্তি। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ঘটনাটি ঘটেছে। নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে পকসো আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায়।
সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে এক সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। জেরায় জানা যায়, তিনি প্রতিবেশী এক কিশোরীর অনুরোধে আবর্জনার ব্যাগটি ফেলে এসেছিলেন। জানতেন না, সেই ব্যাগে আদতে সদ্যোজাতের মৃতদেহ রয়েছে। এর পরেই ওই কিশোরীর বাড়ি পৌঁছোন তদন্তকারীরা। প্রকাশ্যে আসে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি আদতে নাবালিকা। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে নিয়েছে যে, সে-ই মৃত শিশুটির মা। পেশায় সব্জিবিক্রেতা মেয়েটির সঙ্গে এলাকারই বাসিন্দা এক অটোচালকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এই সম্পর্কের ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু পরিজনদের কাছ থেকে বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিল ওই কিশোরী। শেষমেশ গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে এক বন্ধুর সাহায্যে নিজের বাড়িতেই সন্তান প্রসব করে সে। কিন্তু প্রসবের সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর পর সদ্যোজাতের দেহটি একটি ব্যাগে ভরে প্রতিবেশীকে ব্যাগটি ফেলে আসার জন্য অনুরোধ করে সে। ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে ইয়েলহাঙ্কা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মামলা হয়েছে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায়।