বাঘের সঙ্গে খালি হাতে লড়াই করেন অর্চনা। প্রতীকী ছবি।
প্রথমে একটি থাবা পড়ল হাতে। তার পর আরও একটি জোরালো থাবা। এ বার সেই থাবা পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করল। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। কিন্তু সে দিক তখন ভ্রূক্ষেপ ছিল না অর্চনার। তাঁর লক্ষ্য তখন সন্তানকে বাঘের মুখ ছিনিয়ে নেওয়া। শিশুর ঘাড়ে যেই-না দাঁত বসানোর চেষ্টা করল, অমনি জোরে একটা ঘুসি গিয়ে পড়ল বাঘের মুখে। তার পর একের পর এক লাথি।
উল্টো দিকে, শিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে দেখে বাঘও আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। একটা থাবা পড়ে অর্চনার বুকে। একটা পেটে। তবু খালি হাতে লড়াই চালিয়ে যান অর্চনা। আর বাঁচানোর জন্য পরিত্রাহি চিৎকার করছিলেন। প্রায় কয়েক মিনিট এ ভাবেই বাঘের সঙ্গে লড়াই চলে অর্চনার। নিজে বাঘের থাবায় গুরুতর আহত হলেও সন্তানকে বাঘের মুখে থেকে শেষমেশ কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রবল বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলার।
অর্চনা চৌধরী। রোহানিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার সকালে ছেলেকে নিয়ে প্রাতকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন কাছেরই একটি জমিতে। তখনই শিশুটির উপর হামলা চালায় বাঘ। তাকে মুখে করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পিছু ধাওয়া করে সন্তানকে বাঘের মুখ থেকে কেড়ে আনেন অর্চনা।
সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে অর্চনা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পেটে গভীর ক্ষত। ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও সোমবার থেকে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অর্চনার সন্তানের মাথায় বাঘের দাঁতে গভীর ক্ষত হয়েছে। তবে সঙ্কটজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হামলাকারী বাঘের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy