—প্রতীকী চিত্র।
দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তরুণীর। সেই সন্দেহ মাথাচাড়া দিতেই কন্যাকে খুন করে ফেললেন বাবা। তরুণীর দাদাও খুনে বাবাকে সঙ্গ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তাঁদের বিরুদ্ধে দূরসম্পর্কের ওই আত্মীয়কে খুনের অভিযোগও উঠেছে। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন দু’জনেই।
ঘটনাটি দিল্লির ভজনপুরা এলাকার। মঙ্গলবার সেখানেই এই খুনের ঘটনা ঘটে। মৃত তরুণীর নাম সাইনা (২২)। তিনি আত্মীয় দানিশের (৩৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এই দু’জনের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণীর বাবা ৪৬ বছরের মহম্মদ শাহিদ এবং তাঁর ২০ বছরের পুত্র কুডুসকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ কুডুস থানায় ফোন করেন। জানান, বোন এবং তাঁর প্রেমিককে তিনি এবং বাবা মিলে খুন করে ফেলেছেন। তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে চান বলেও জানান। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রাম গলি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, সাইনার গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে। তাঁর হাত এবং পা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওই বাড়িতেই পাওয়া যায় দানিশের দেহও। তাঁর দেহেও একই ধরনের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিশদে জানতে পারবেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দানিশের সঙ্গে লতায়পাতায় আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। তিনি তরুণীর কাকা হতেন। দু’জনের বয়সের ব্যবধানও ছিল ১৩ বছর। তরুণীর বাবা এবং দাদার সন্দেহ হয়, দানিশের সঙ্গে তাঁদের মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই সম্পর্ক তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। তাই দু’জনকেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy