—প্রতীকী চিত্র।
প্রতি দিনের মতোই কলেজ যাওয়ার জন্য মেট্রোয় উঠেছিলেন। ব্যস্ত সময়ের মেট্রো রোজই ভিড়ে ঠাসা থাকে। সোমবারও তাই ছিল। উপায় নেই বলেই ঠেলেঠুলে মেট্রোর গেট দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন কোনও ক্রমে। আর সেই ভিড়েই অপেক্ষা করছিল বিভীষিকা! যার ভয়াবহ স্মৃতি গত ৪৮ ঘণ্টায় ফিরে ফিরে আসছে।
এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি কখনও। এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী সবিস্তারে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুর এই অভিজ্ঞতার কথা। বলেছেন, বিপদে পড়ে ভিড়ের মধ্যে গলা ছেড়ে চিৎকার করছিল ও সাহায্যে করার জন্য। কিন্তু কেউ ওই তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। তাঁর বন্ধু তাই সমাজমাধ্যমে জানতে চেয়েছেন, কী ভাবে ওই ঘটনার প্রমাণ জোগাড় করতে পারেন তিনি? মেট্রোর কামরার ভিতরে কি সিসিটিভি থাকে? তাতে কি ঘটনাটি রেকর্ড হয়ে থাকতে পারে?
ঠিক কী হয়েছিল তাঁর বন্ধুর সঙ্গে? রেডিট প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট করে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন তাঁর বন্ধু কলেজ পড়ুয়া। গত সোমবার তিনি বেঙ্গালুরুর মেট্রোরেলে উঠেছিলেন জেনারেল কামরায়। পরের স্টেশনে সেই বগিতেই জনস্রোত ঢুকে পড়ে। তাও তার মধ্যেই কোনও রকমে দাঁড়িয়েছিলেন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুটি। আচমকাই তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে ওই ভিড়ের মধ্যে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরছে কেউ। শুধু তা-ই নয়, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করছে সে। মানুষটির আঙুলের নখ পর্যন্ত নিজের শরীরে বুঝতে পারছিলেন ওই তরুণী। তিনি প্রথমে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাতে সফল না হয়ে শেষে চিৎকার করে ওঠেন। ভিড়ের মধ্যেই অমানুষিক শক্তি দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ছেড়ে ছিটকে বেরিয়ে যায় মানুষটি।
চমকে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তিনি তারপরও চিৎকার করতে থাকেন। আশপাশের মানুষজনের কাছে সাহায্য চান লোকটিকে ধরার জন্য। কিন্তু কেউই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। প্ল্যাটফর্ম এলে যে যার মতো নেমে যান। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর কিছুটা ত্রস্ত হয়ে ট্রেন থেকে নেমে যান ওই তরুণী। তাঁর জন্যই সাহায্য চাইতে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন তাঁর বন্ধু।
ঘটনাটির কথা জেনে সাহায্য করতেও এগিয়ে এসেছেন অনেকে। রেডিট ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, মেট্রোর ভিতরে সব সময় সিসিটিভির নজরদারি থাকে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা হাতে পেতে পারেন ওই তরুণী। তবে আরও এক জনের পরামর্শ, এর জন্য অনেক ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কারও সাহায্য পেলে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy