মোরগের নিরাপত্তা চাইলেন মহিলা। প্রতীকী ছবি।
মোরগ তাঁর খুব পছন্দের পোষ্য। তাই শখ করে একটি মোরগ কিনে এনেছিলেন জানকী বাঈ বিজ্ঝর। নিজের সন্তানের মতোই মোরগটিকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন তিনি। কিন্তু জানকীর সন্দেহ হয়, প্রতিবেশীরা তাঁর নধর মোরগটিকে চুরি করে খেয়ে ফেলতে পারেন। তাই আগলে আগলে রাখা শুরু করেন।
জানকীর অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে পাশের বাড়ির বুগল এবং দুর্গা তাঁর মোরগের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন। তাতে জানকীর সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। তাঁর আরও দাবি, এই দুই প্রতিবেশী সব সময় মোরগের প্রতি নজর রাখতেন। এক দিন মোরগটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বুগল, এমনও অভিযোগ তুলেছেন জানকী।
তাঁর পোষ্যের জীবন সংশয় হয়ে ওঠায় চিন্তায় পড়েন জানকী। এর পর থেকে মোরগটিকে ঘরেই রাখতে শুরু করেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। এক দিন কাজে বেরিয়েছিলেন জানকী। বিকেলে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন মোরগটি নেই। হন্তদন্ত হয়ে ছোটেন বুগাল এবং দুর্গার বাড়িতে।
জানকীর দাবি, তিনি দিয়ে দেখেন বুগালের বাড়িতে বাঁধা রয়েছে মোরগটি। সেটিকে কেটে খাওয়ার তোড়জোড়ও চলছিল। বুগলের সঙ্গে হাতাহাতি করে শেষমেশ তার পোষ্যকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। জানকীর আরও দাবি, মোরগের গলায় গভীর একটা ক্ষত ছিল। এর পরই মোরগের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন জানকী। ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের রাইপুরের রতনপুর থানা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, মোরগ নিয়ে দু’পক্ষের ঝামেলার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। এর পরেও বিষয়টি না মিটলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy