Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
CAA

CAA: সিএএ প্রত্যাহার, কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরানোর দাবি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, সিএএ ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। যা কৃষি আইনের সঙ্গে কোনও ভাবেই ছিল না।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে সিংঘু সীমানার বিক্ষোভস্থলে মোমবাতি জ্বালাচ্ছে একটি শিশু। শুক্রবার। পিটিআই

কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে সিংঘু সীমানার বিক্ষোভস্থলে মোমবাতি জ্বালাচ্ছে একটি শিশু। শুক্রবার। পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৮
Share: Save:

বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার হতেই, এ বার দাবি উঠল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা পুনর্বহাল ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-কে বাতিল করার। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, সিএএ ও অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। যা কৃষি আইনের সঙ্গে কোনও ভাবেই ছিল না।

বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই আজ বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার পরেই বিভিন্ন
শিবির থেকে দাবি ওঠে, পরবর্তী ধাপে সিএএ আইনও প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। একই সঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া হোক জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। কারণ ওই সিদ্ধান্তগুলিও যথেষ্ট বিতর্কিত এবং ওই সিদ্ধান্তগুলির বিরোধিতায় এক সময়ে সরব হয়েছিলেন দেশের বড় অংশের মানুষ। আজ কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের সভাপতি গুলাম আহমেদ মির জানান, ‘‘যে সব ক্ষেত্রে অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে সরকারকে। আশা করছি এক দিন উপত্যকার মানুষের কথা শুনে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাও প্রত্যাহার করে নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ আমজনতা ওই সিদ্ধান্তে খুশি নন।’’ ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। কেড়ে নেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও।

দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে যে আইনটিকে ঘিরে সরকারকে বড় মাপের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তা হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। সংশোধিত ওই আইনে বলা হয়েছিল, প্রতিবেশী আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে সে দেশের সংখ্যালঘু ব্যক্তিরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিষ্টান, পার্সি ও জৈন) যদি ভারতে শরণার্থী হিসেবে আসেন তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে তাঁদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে নয়াদিল্লি। কেন ধর্মের ভিত্তিতে কোনও আইন করা হবে, কেন প্রতিবেশী দেশের মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া হবে না তা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় দেশ জুডে। গোটা ভারতের আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ। পরে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ওই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা।

আজ কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের তরফে সিএএ-ও প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। একই দাবি তুলেছে হায়দারাবাদের সংখ্যালঘু নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল। একই দাবি উঠেছে সামাজিক মাধ্যমগুলিতেও। যদিও আজ স্বরাষ্ট্র সূত্রে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা সিএএ-এর সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। সিএএ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আজ বলেন, ‘‘দ্রুত যাতে সিএএ আইন প্রয়োগ করা যায় সে নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রয়োজনে কেন্দ্রের কাছেও আবেদন জানাব।’’ কিন্তু আইন পাশ হওয়ার পরে দু’বছর কেটে যাওয়া সত্ত্বেও এখনও ওই আইনের ধারা তৈরি করে উঠতে পারেনি অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

অন্য বিষয়গুলি:

CAA kashmir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy