২০১৭-তেও গুজরাত ভোটের সময় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর আগে গুজরাত ভোটের সময়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী শিবির মনে করছে, এবা রও গুজরাতের ভোটের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়া হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে বিজেপির তাবড় নেতারা গুজরাতের প্রচারেই ব্যস্ত থাকবেন। ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাতে ভোটগ্রহণ। তারপরেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষের পরেও সংসদের অধিবেশন চলবে। সরকারের একটি সূত্রে অবশ্য বলা হচ্ছে, বর্তমান সংসদ ভবনের চত্বরেই নতুন সংসদ ভবনের কাজ চলছে বলে সাংসদদের গাড়ি ঢোকা, বের হওয়ার রাস্তায় বাধা রয়েছে। তার জন্যও অধিবেশনের দেরি হতে পারে।
সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। ডিসেম্বরে বড়দিনের ঠিক আগেই তা শেষ করা হয়। গত বছর যেমন ২৯ নভেম্বর থেকে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল ২৩ ডিসেম্বর। এ র গুজরাতের ভোট ঘোষণার পর রাজধানীর রাজনৈতিক মহলের খবর, নভেম্বরে আদৌ বসবে না অধিবেশন। ১ এবং ৫ ডিসেম্বর গুজরাতে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর। সূত্রের বক্তব্য, তারিখ এখনও চূড়ান্ত না হলেও ডিসেম্বরের গোড়ায় ভোটের পরেই সংক্ষিপ্ত অধিবেশন ডাকা হতে পারে। বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য, অধিবেশন শুরুর ১৪ দিন আগে সাংসদদের কাছে নোটিস আসে প্রশ্ন জমা দেওয়ার জন্য। এখনও পর্যন্ত সে রকম কিছু আসেনি। ফলে ইঙ্গিত স্পষ্ট। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁরাও গুজরাতের ভোটে জিতে সদর্পে সংসদে ঢুকতে চাইছেন।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার আগেই দিল্লিতে ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূলের সংসদীয় নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সংসদীয় কাজকর্মে কোনও গুরুত্বই দেবে না। শাসক দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা ফিরেও তাকাবেন না অধিবেশনের দিকে। বিজেপির কাছে নির্বাচনী রাজনীতি সংসদীয় গণতন্ত্রের ঊর্ধ্বে।
এক তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “সম্প্রতি মোদী গুজরাতে তাঁর প্রথম নির্বাচনী সভায় প্রদেশ নেতৃত্বকে বলেছেন, তাঁর কাছে যত সময় চাওয়া হবে, তিনি গুজরাতে নির্বাচনের (প্রচার) জন্য তা দিতে রাজি। অর্থাৎ দেশে সময়মতো সংসদীয় অধিবেশন বসল কি না তাঁর কোনও পরোয়া নেই। তিনি গুজরাতে বিজেপি-কে জেতাতে ব্যস্ত থাকবেন। আসলে এক তরফা, সংসদীয় কমিটিকে এড়িয়ে নিজেদের কিছু বিল পাশ করিয়ে নেওয়া ছাড়া লোকসভা বা রাজ্যসভার কোনও গুরুত্ব তাঁর কাছে নেই।”
২০১৭-তেও গুজরাত ভোটের সময় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল জানুয়ারির ৫ তারিখে। লোকসভার আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ভোটের সময়েও অধিবেশন চলেছে। কিন্তু গুজরাতের ভোট বলে শীতকালীন অধিবেশন কখন বসবে, তার কোনও তথ্য মিলছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy