প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ফাইল চিত্র।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ঠিকই। তবে তার সুফল পাঁচ মাস পরে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে নয়, পাঁচ বছর পরে, ২০২৭-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যেতে পারে বলে আশা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তিন দশকের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের সংগঠনে ক্ষয় ধরেছে। প্রিয়ঙ্কা গত দু’বছর ধরে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নিলেও এর মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই তিনি দিল্লিতে ছিলেন। কোভিড, লকডাউনের জের কাটিয়ে তাঁর মাঠে নামতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যা নিয়ে তিনি ঝড় তুললেও তাতে চটজলদি সংগঠন মজবুত হওয়ার আশা দেখছে না কংগ্রেস।
সনিয়া গাঁধী রোজকার দল পরিচালনার যে শীর্ষ কমিটি তৈরি করেছেন, তার এক সদস্য বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কা তো প্রতিটি বুথে পৌঁছতেই পারবেন না। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে ভোটের আগে প্রতিটি বুথে কংগ্রেসের কর্মীও মিলবে না। তিন দশক ক্ষমতার বাইরে থাকার পরে সংগঠনে যে ক্ষয় ধরেছে, তা দু’বছরে মেরামত হওয়ার নয়। তবে পরের বিধানসভা ভোটের জন্য দলের ভিত মজবুত হচ্ছে।’’ গাঁধী পরিবারের আস্থাভাজন এই নেতার আশা, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও এর কিছুটা সুফল মিলতে পারে।
লখিমপুর খেরির পরে আগরায় পুলিশ হেফাজতে মৃত দলিত ব্যক্তির বাড়িতেও গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। শনিবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই করতে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক বসছে।
প্রিয়ঙ্কা ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণার পরে আগেভাগেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলতে চায় কংগ্রেস। শনিবার থেকে গোটা রাজ্যে কংগ্রেসের ‘প্রতিজ্ঞা যাত্রা’ শুরু হচ্ছে। বারাণসী, সহারনপুর ও বারাবঁকী থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। বারাবঁকীতে প্রিয়ঙ্কা নিজে প্রতিজ্ঞা যাত্রায় সবুজ পতাকা দেখাবেন।
উত্তরপ্রদেশের অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা মনে করছেন, এসপি ও রাষ্ট্রীয় লোক দলের সঙ্গে জোট হলে কংগ্রেস কিছুটা ভাল ফল করতে পারত। কংগ্রেসের অনেকেই মনে করছেন, অখিলেশ যাদবের এসপি-ই এ বার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গায় রয়েছে। ঘটনাচক্রে আজ দিল্লি থেকে লখনউ যাওয়ার বিমানে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অখিলেশ যাদবের দেখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এসপি ও কংগ্রেস অবশ্য জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে। ২০১৭-য় ৪০৩টি আসনের মধ্যে ১০৫টি আসনে লড়ে ৭টি আসন জেতা কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে আগ্রহী নন এসপি নেতারা।
এ দিকে আজ রাহুল গাঁধী গুজরাতের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর বাড়িতেই বৈঠক করেছেন। গুজরাতে হার্দিক পটেলকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হবে কি না, তা নিয়ে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে। রাজস্থানের নেতা রঘু শর্মাকে গুজরাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ রাজস্থানের আর এক নেতা হরিশ চৌধরিকে এআইসিসি-তে পঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy