প্রতীকী ছবি।
মধুচন্দ্রিমায় স্ত্রীকে গোয়া নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টোটাই করলেন তিনি। স্ত্রীকে গোয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখিয়ে সেখানে না নিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা এবং বারাণসীতে নিয়ে যান। আর তাতেই সংসার গড়ে উঠতে না উঠতেই, ফাটল ধরল সম্পর্কে। প্রতিশ্রুতি ‘ভঙ্গ’ করার দায়ে স্বামীর কাছে থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে বসেছেন স্ত্রী!
এমন কাণ্ড খুব চর্চিত বিষয়ের তালিকার মধ্যে না হওয়ায়, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘ফ্রি প্রেস জার্নাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস পাঁচেক বিয়ে হয়েছে দম্পতির। বিয়ের পর পরই স্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বামী, মধুচন্দ্রিমার জন্য গোয়াকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। স্বামীর কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তার পরই ছন্দপতন। ‘ডেস্টিনেশন’ গোয়া না হয়ে, সেটি হল ‘ডেস্টিনেশন’ অযোধ্যা!
দু’জনে মিলে অযোধ্যা এবং বারাণসী ঘুরেও আসেন। কিন্তু সেখান থেকে ফিরেই আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। ভোপালের একটি পরিবার আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। ভাল বেতন পান। তিনিও একটি সংস্থায় কাজ করেন। ভাল বেতন পান। ফলে দু’জনের যা আয়, তাতে ভাল ভাবে বিদেশ ঘুরে আসা যায়। কিন্তু আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও স্বামী তাঁকে বিদেশে নিয়ে যেতে চাননি। বরং দেশেরই কোনও এক জায়গায় মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যে হেতু বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি রয়েছেন, তাই তাঁর স্বামী বিদেশে ঘুরতে যেতে চাইছিলেন না। স্বামীর সিদ্ধান্তে তিনি রাজিও হয়েছিলেন। মহিলার অভিযোগ, ঠিক হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের কোনও জায়গা কিংবা গোয়ায় যাওয়া হবে। কিন্তু স্বামী তাঁকে না জানিয়েই অযোধ্যা এবং বারাণসীর জন্য বিমানের টিকিট বুক করেন।
মহিলা তাঁর পিটিশনে আরও জানান যে, ঘুরতে যাওয়ার আগের দিন তাঁকে জানানো হয়, গোয়া নয়, তাঁরা যাচ্ছেন অযোধ্যা। কারণ শাশুড়ি অযোধ্যা যেতে চেয়েছেন। রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ার আগে তাই তাঁকে ঘুরিয়ে আনার জন্য ‘ডেস্টিনেশন’ বদল করা হয়। অযোধ্যায় ঘুরেও আসেন তাঁরা সকলে। ১০ দিন পর ফিরে আদালতে যান মহিলা। বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy