উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন, ৪৫ দিনের কুম্ভমেলায় প্রয়াগরাজে ৬৫ কোটি মানুষ গিয়েছেন। ৩ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলল, এর প্রতিফলন উত্তরপ্রদেশের জিএসটি আয়ে দেখা গেল না কেন?
জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশের জিএসটি থেকে আয় হয়েছে ৯১৫৫ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে রাজ্যের আয় ছিল ৯৫১৬ কোটি টাকা। ডিসেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের জিএসটি থেকে আয় হয়েছিল ৮,১০০ কোটি টাকা। নভেম্বরে আয় হয়েছিল ৯,৪০০ কোটি টাকা। যার অর্থ, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি জুড়ে কুম্ভমেলা চললেও রাজ্যের জিএসটি আয় বিশেষ কিছুই বাড়েনি। অথচ এত লোকের ভিড়, তার জেরে বিক্রি বাড়লে জিএসটি আয়ও বাড়ার কথা।
কংগ্রেস নেতা, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী টি এস সিংহদেওয়ের প্রশ্ন, ‘‘যদি ৩ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে, তা হলে গড়ে ১৮% জিএসটি হিসেবে জিএসটি খাতে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা আয় হওয়ার কথা। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মিলিয়েও এত আয় হয়নি। তা হলে করের টাকা গেল কোথায়? মহাকুম্ভের মতো এত বড় আয়োজনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হয়। যাতায়াত, হোটেল, খাবার, ধর্মীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা, সব রকম খরচে জিএসটি চাপে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নেতা গুরদীপ সিংহ সাপ্পালের প্রশ্ন, এত টাকার জিএসটি কি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে? না কি বিজেপি সরকার যে ভিড়ের তথ্য দিচ্ছে, সেখানেই
ফাঁকি রয়েছে?
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)