প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। —ফাইল ছবি।
হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে বিজেপি সরকারের গত দশ বছরের কাজ তুলে না ধরে মূলত কংগ্রেসকে আক্রমণ করাকেই প্রচারের অস্ত্র হিসেবে বেছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রত্যেকটি সভাতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি দলিত-বিরোধিতা, দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন কড়া ভাষায়। জানিয়েছেন, এক বার ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস সংরক্ষণ তুলে দিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে (মুসলমান) সুরক্ষিত করবে। কিন্তু এত আক্রমণাত্মক হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে প্রচারের শেষ দু’দিনে কেন মোদী এবং দলের ভোট-কৌশলের অন্যতম নেতা অমিত শাহকে দেখা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক শিবিরে।
মোদী তাঁর শেষ প্রচার করেছেন ১ তারিখ পালওয়ালে। শাহ তিনটি জনসভা করেন ২৯ তারিখে। কিন্তু যে দল তাদের প্রচারের কৌশলে এতটুকু ঢিলে না দিয়ে অনেক আগে থাকতেই সমস্ত হিসাব কষে এগোয়, তাদের শীর্ষ নেতাদের শেষ মুহূর্তের এই অনুপস্থিতি আদতে হাল ছেড়ে দেওয়ার সমার্থক কি না, এমন প্রশ্ন উঠছে খোদ রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তর থেকে। দলের দুই তারকা প্রচারকের অনুপস্থিতিতে শেষ পর্বের হাল ধরেছেন রাজনাথ সিংহ, যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ১০টি এবং ২০১৯ সালে ৭টি জনসভা করেছিলেন মোদী। সেই তুলনায়এ বার করেছেন মাত্র ৪টি।
রাজ্য বিজেপির এক নেতা বিস্মিত ভাবে বললেন, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং মল্লিকার্জুন খড়্গের মতোই মোদী এবং শাহের উচিত ছিল প্রচারের শেষ দু’দিনে রোড শো অথবা জনসভা করা। এমনিতেই দশ বছর একটানা শাসন করা বিজেপির প্রতি ফুটন্ত ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে রাজ্যে। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষকদেরসমস্যা, অগ্নিবীর যোজনা নিয়ে ক্রুদ্ধ রাজ্যবাসী। ফলে বহু বারের মতো মোদী নিজে সামনে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগগুলির মোকাবিলা করে দলকে বৈতরণী পার করাবেন, এই আশা ছিল রাজ্যের বিজেপিনেতা-কর্মীদের। এক বিজেপি নেতার কথায়, “কর্নাটকের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচন-সহ প্রায় সমস্ত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচার করেছেন মোদী। ফলাফলে অনেকটাই পার্থক্য হয়ে গিয়েছিল তাতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy