ফাইল ছবি
আইনে পরিষ্কার করে কিছু বলা নেই। তাই অবিবাহিত পুরুষের হিমায়িত বীর্যে কার অধিকার তা নিয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের মত জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্ট। ক্যানসারে মৃত এক যুবকের হিমায়িত বীর্য ফেরত দিতে হাসপাতালকে দাবি জানায় তার পরিবার। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃত যুবকের পরিবার।
প্রশ্ন হল কেন হাসপাতাল ওই যুবকের বীর্য সংগ্রহ করেছিল? জানা গিয়েছে, ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই যুবক। মারা যাওয়ার আগে জুন মাসে তাঁর কেমোথেরাপি চলেছিল। সেই সময় তাঁর পরিবারকে চিকিৎসকরা জানান, কেমো দিলে তাঁদের ছেলে সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম না হতেও পারেন।
এর পরই যুবকের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর বীর্য হিমায়িত করে রাখার। সেই মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বীর্য সংগ্রহ করে হিমায়িত করে রাখেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ওই যুবক মারা যাওয়ার পর তা ফেরত চাইতে গেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অবিবাহিত মৃতের বীর্য কাকে ফেরত দেওয়া হবে তা নিয়ে আইনে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই তা ফেরত দেওয়া যাবে না। এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (এআরটি) আইন, আইসিএমআর নির্দেশিকা এবং সারোগেসি আইনে এ প্রসঙ্গে ‘নীরব’। তাই এ বিষয়টি স্পষ্ট না হলে পরিবারকে বীর্য ফেরত দিতে পারবেন না তাঁরা।
এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। গত বছর ডিসেম্বরে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করে তারা। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের মত জানাতে চেয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
আদালতে যুবকের পরিবারের আইনজীবী কুলদীপ সিংহ বলেন, পরিবারের একমাত্র সন্তান ওই যুবক। তাই তাঁদের ইচ্ছা ছেলে স্মৃতিকে জীবিত রাখতে ওই হিময়িত বীর্য থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার। সে কারণেই তা ফেরত চাইছেন তাঁরা। আইনজীবীর দাবি ওই মৃত যুবকের ‘শারীরিক সম্পদ’ ফেরত পাওয়া থেকে তাঁর পরিবারকে বঞ্চিত করা অধিকার ভঙ্গের সামিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy