চন্দ্রযান-৩। ফাইল চিত্র।
চাঁদের মাটি থেকে এখনও সাড়া মেলেনি ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের। তাদের জাগিয়ে তোলার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ২১ সেপ্টেম্বরই চাঁদে সূর্য উঠে গিয়েছে। তার পরে কেটে গিয়েছে আরও তিন দিন। কিন্তু বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ঘুম ভাঙিয়ে কাজে ফিরিয়ে আনার আশা ছাড়েনি ইসরো। তারা মনে করছে, আজ নয় তো কাল, এমনকি ১৪ দিনের একেবারে শেষ দিনেও জেগে উঠতে পারে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান।
এ প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, “ল্যান্ডার এবং রোভারের সঙ্গে কখন যোগাযোগ করা যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। জানি না, ওরা কখন জেগে উঠবে। হয়তো আগামী কালও জেগে উঠতে পারে। আবার দেখা গেল, চাঁদে আঁধার নামার আগের দিনও ওরা সাড়া দিল। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি ল্যান্ডার এবং রোভারকে জাগিয়ে তুলতে পারি, তা হলে এটাও হবে আমাদের বড় সাফল্য।”
দিন থাকতে থাকতেই বিক্রম এবং প্রজ্ঞান যে সাড়া দেবে, তা নিয়ে আশাবাদী ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথ। কারণ, দিন যত এগোবে চাঁদের তাপমাত্রাও বাড়বে। আর রোভার এবং প্রজ্ঞানের জেগে ওঠার সম্ভাবনাও তত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রাতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২০০ থেকে ২৫০ ডিগ্রি নীচে নেমে যায়। তাই ইসরোর চেয়ারম্যান আগেও জানিয়েছিলেন যে, রাত নামলে তাপমাত্রা চাঁদে যে পর্যায়ে পৌঁছয়, সেই তাপমাত্রাও সহ্য করার মতো ক্ষমতা রয়েছে প্রজ্ঞানের। এক সংবাদমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে আবারও তিনি জানিয়েছেন, রোভারকে পুরোপুরি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে কতটা তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। প্রজ্ঞান এবং বিক্রমে যে যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তার অনেকাংশে মিল রয়েছে। ফলে প্রজ্ঞান যদি হিমাঙ্কের নীচের ওই তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, তা হলে বিক্রমেরও জেগে ওঠার কথা। এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে ইসরো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy