Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Whatsapp

আড়ি পাতা হচ্ছে, ভারত সরকারকে মে মাসেই জানানো হয়েছিল, দাবি হোয়াটসঅ্যাপের

শুক্রবার সংস্থার মুখপাত্র বলেন, ‘‘একজন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। আমরা মে মাসেই এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছিলাম। ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয় সে কথা।’’

ভারত সরকারকে হ্যাকের ব্যাপারে জানানো হয়েছিল মে মাসেই, জানাল হোয়াটসঅ্যাপ।

ভারত সরকারকে হ্যাকের ব্যাপারে জানানো হয়েছিল মে মাসেই, জানাল হোয়াটসঅ্যাপ।

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:৪৩
Share: Save:

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের একাংশের উপর যে আড়ি পাতার চেষ্টা হচ্ছে,সে বিষয়ে গত মে মাসেই সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি সমস্যার মোকাবিলাও শুরু করে দেওয়া হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করল হোয়াটসঅ্যাপ।

গত জুলাই মাসেই ভারতে এসেছিলেন ফেসবুকের (হোয়াটসঅ্যাপ তাদেরই মালিকানাধীন) সিনিয়র এগজিকিউটিভ উইল ক্যাথচার্ট। দু’মাস পরে আসেন আরও এক উচ্চপদস্থ অফিসার নিক ক্লেগ। সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ কথাও হয় তাঁদের। সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়েই বৃহস্পতিবার সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের আগে জানাননি যে,‘পেগাসাস’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ইজরায়েলি সংস্থা ব্যবহারকারীর তথ্য হতানোর চেষ্টা করছে। ভারতের এই অভিযোগকেই নস্যাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, মে মাসেই ভারত সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

শুক্রবার সংস্থার মুখপাত্র বলেন, ‘‘একজন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। আমরা মে মাসেই এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছিলাম। ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয় সে কথা।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে একমত। সমস্যা জটিল। তবে একত্রে কাজ করে আমরা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারি।’’

আরও পড়ুন: জ্বলছে চোখ, হচ্ছে প্রবল কাশি, দূষণের চাদরে দমবন্ধ দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থা’
আরও পড়ুন:বিজেপিকে বাদ দিয়েও সরকার গড়া সম্ভব, বলল সেনা

হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এ বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১২ দিনে সেলফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন এমন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ওই নজরদারির শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েক জন সাংবাদিক, দলিত আন্দোলনের নেতা, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক নেতা। অন্য দিকে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-ও জানিয়েছে, তারা স্পাইওয়্যারটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে বিক্রি করেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কাদের হয়ে কাজ করছিল ইজরায়েলি সংস্থাটি? বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলগুলি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে অবশ্য বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর। তাঁর মধ্যে গোপনীয়তার অধিকারও রয়েছে। আমরা সেই অধিকার রক্ষার্থে সমস্ত আইন ও নিয়মাবলী মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। প্রতিটি নির্দোষ ভারতীয়ের তথ্য যাতে সুরক্ষিত থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে যথাসাধ্য করা হয়েছে।’

কিন্তু তারপরেও কেন নাগরিক সমাজের একাংশের ব্যক্তিগত তথ্যে নজরদারি হল? কারা করল এই কাজ? এই সহব প্রশ্নের উত্তর পেতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি।

অন্য বিষয়গুলি:

Whatsapp Congress Mark Zuckerberg Tech
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy