প্রেমিকাকে প্রকাশ্যেই কুপিয়ে থেঁতলে খুন করেন সাহিল খান। ছবি: সংগৃহীত।
কিশোরীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করার পর সেই রাতে ঠিক কী কী করেছিলেন অভিযুক্ত সাহিল খান? কোথায় গিয়েছিলেন? রাত কেটেছিল কোথায়? সাহিলকে জেরার পর একে একে সে সব জানাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের কাছে সাহিল খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, সাহিল সেই রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। খুনের পর প্রথম আধ ঘণ্টা রোহিণীর শাহবাদ ডেয়ারি এলাকাতেই ছিলেন তিনি। রাস্তায় খুনের ছুরিটি হাতে নিয়েই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে একটি পার্কে গিয়ে বসেন। সেখানেই সম্ভবত পালানোর ছক কষে ফেলেছিলেন। এর পর সাহিল পৌঁছে যান রিঠালা এলাকায়। সেখানে এক জঙ্গলে ছুরিটি ছুড়ে ফেলে দেন।
ছুরি ফেলে দেওয়ার পর নিজের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করেন সাহিল। তার পর একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে গিয়ে শুয়ে পড়েন রাস্তাতেই। পরের দিন সকালে আনন্দবিহার এলাকায় গিয়ে বুন্দেলশহরের বাস ধরেন।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে বাড়তি সতর্ক ছিলেন সাহিল। তাই পথে বেশ কয়েক বার বাস বদল করেছিলেন। বুন্দেলশহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে তিনি গা ঢাকা দেন। সেখান থেকে এক বার বাবাকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনের সূত্রে তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ।
পুলিশ সাহিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, ঘাতক ছুরিটি তিনি কিনেছিলেন হরিদ্বার থেকে। ঘটনার অন্তত দিন ১৫ আগে তা কেনা হয়েছিল। পুলিশের ধারণা, এই খুন আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল। রাগের বশে হঠাৎ করে প্রেমিকাকে মারেননি সাহিল। আগে থেকেই খুনের ছক কষে রেখেছিলেন।
সাহিলের মোবাইল ফোন কিংবা খুনে ব্যবহৃত ছুরি, কোনওটাই এখনও পুলিশ হাতে পায়নি। অভিযোগ, জেরার মুখে বার বার তিনি বয়ান বদল করছেন। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার তদন্তে যা উঠে এসেছে, তা হল, ১৬ বছরের ওই কিশোরীর সঙ্গে ২০২১ সাল থেকে সাহিল প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সম্পর্ক ভাঙতে চাইছিলেন কিশোরী। সাহিলের ধারণা হয়েছিল, তিনি তাঁর পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেছিলেন। সাহিলকে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।
রবিবার রাতে দিল্লির রাস্তায় কিশোরীকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেন সাহিল। তাকে পর পর ২০ বার কোপ মারা হয়। তার পর বড় পাথরের স্ল্যাব দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় মাথা। গোটা ঘটনা সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খুনের দৃশ্য পথচলতি অনেকেই দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy