কাটরায় বাসে বিস্ফোরণ। ফাইল চিত্র।
হামলার ধরনে বদল আনছে জঙ্গিরা। হামলার জন্য তারা অত্যন্ত ঘাতক ‘স্টিকি বোমা’র ব্যবহার শুরু করেছে। কয়েক দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের কাটরায় বাসে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল, গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সেই বিস্ফোরণে স্টিকি বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। বাসটি বৈষ্ণোদেবী বেস ক্যাম্পে যাচ্ছিল। পথেই বিস্ফোরণ হয়।
সেই ঘটনার পর রবিবার কাঠুয়ায় স্টিকি বোমা এবং গ্রেনেড লঞ্চার-সহ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে পুলিশ।
অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক ছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। আইইডি দিয়ে জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কা সব সময়েই থাকে। কিন্তু এখন নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্টিকি বোমা। এমনটাই জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক।
কী এই স্টিকি বোমা? কেন এই বোমাকেই হামলার জন্য বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা?
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, স্টিকি বোমার আর এক নাম ‘ম্যাগনেটিক বোমা’। এর সঙ্গে টাইমার লাগানো থাকে। দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কয়েনের আকারের এই বোমা সহজেই যে কোনও জায়গায় লাগিয়ে দেওয়া সম্ভব। আকারে ছোট হওয়ায় সহজে কারও চোখেও পড়ে না। সাধারণত গাড়িতে হামলা চালানোর জন্য এই ম্যাগনেট বোমা ব্যবহার করে জঙ্গিরা।
যদি টাইমার ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ মিনিটের সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয় যাতে ওই সময়ের মধ্যে জঙ্গিরা পালানোর রাস্তা খুঁজে ফেলতে পারে।
ট্রাফিক সিগন্যালে যখন গাড়ি দাঁড়ায় সেই সময়টাকেই কাজে লাগিয়ে হামলার জন্য নির্দিষ্ট করা গাড়িতে স্টিকি বোমা লাগিয়ে দেয় জঙ্গিরা। কাটরার বাস বিস্ফোরণের ঘটনার ক্ষেত্রেও একই কৌশল নিয়েছিল জঙ্গিরা। বাসের জ্বালানি ট্যাঙ্কে বোমা আটকে দিয়েছিল তারা।
আফগানিস্তানে এই বোমার মুহুর্মুহু ব্যবহার হয়েছে। আমেরিকার মতো দেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিল জঙ্গিদের এই কৌশল। খুব সস্তায় এই বোমা বানানো যায়। এই বোমা বানাতে খরচ হয় হাজার দু’য়েক টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy