Advertisement
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
TET

এখনই শংসাপত্র নয়, টেট উত্তীর্ণদের নম্বর জানাতে পারে পর্ষদ! হাই কোর্টের দিকে তাকিয়ে পরীক্ষার্থীরা

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মামলাকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিষয়ভিত্তিক নম্বর দ্রুত প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:২৬
Share: Save:

দুটো টেটের শংসাপত্র এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটের পরীক্ষার্থীদের নম্বর জানাবে পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এমনটাই জানালেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় শুনানির সময় এ বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে আদালতকে জানানো হবে।

গত দু’বার টেট পাশ করার পরেও শংসাপত্র (টেট সার্টিফিকেট) দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেটের শংসাপত্র পেতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা। এত দিনেও কেন শংসাপত্র দেওয়া হল না পর্ষদ সভাপতির কাছে সেই উত্তর জানতে বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মামলকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি পরামর্শ দেন, সরাসরি পর্ষদ সভাপতির কাছে গিয়ে জেনে আসতে, কী কারণে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। তার পরই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পর্ষদ। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও পরীক্ষার্থীকে টেট পরীক্ষায় এক বার পাশ করলেই চলবে। বার বার পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পরবর্তী কালে মেধাতালিকার ভিত্তিতে ইন্টারভিউতে সফল হলেই চাকরি মিলবে। এখন অনেক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের দুটো টেট পরীক্ষাতেই তাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন। অর্থাৎ, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরকে নতুন করে টেট পরীক্ষায় বসতে হবে না। তবে এত দিনেও পর্ষদ আগের পরীক্ষার শংসাপত্র না দেওয়ার কারণে নতুন করে তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না। কারণ, বিগত পরীক্ষার নম্বর তাঁদের জানা নেই। ফলে নতুন করে আবেদনের সময় আগের দুটো পরীক্ষার মধ্যে কোনটার নম্বর দেবেন, আর কোন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বেশি, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। এখন এই সমস্যা সমাধানের জন্য সুমন্ত বিদ-সহ অন্য পরীক্ষার্থীরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

সোমবার এই একই বিষয়ে মামলা করেন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, শংসাপত্র পাননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার হবে। তাঁর বক্তব্য, “প্রতিটি টেটের নম্বর বিভাজন-সহ শংসাপত্র দেওয়া দরকার পর্ষদের। তাতে সবাই নিজের নিজের নম্বর জানতে পারবেন। দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।” প্রসঙ্গত, বিষয়টি বিবেচনা করা হবে সোমবার পর্ষদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

TET Calcutta High Court Justice Abhijit Gangopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy