প্রতীকী ছবি।
যত ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, তত বেশি সংক্রমণ। সম্প্রতি পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ(আইআইএসইআর)-এর সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এল। ওই সীমাক্ষায় দাবি করা হয়েছে, পরিবহণের ধরন এবং এর ঘন ঘন পরিষেবাই সংক্রমণ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আইসার-এর এক দল গবেষক দেশের ৪৪৬টি শহরের উপর সমীক্ষা চালান। তার মধ্যে যেমন মেট্রো শহর রয়েছে, তেমন ছোট শহরও আছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, আমদাবাদ, লখনউ, ঝাঁসি, পুণে এবং জয়পুরে যত দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তার তুলনায় কম সংক্রমণ ছড়িয়েছে আমরেলি, গ্যআংটক, শিমলা, কান্নুর, তেজপুর, ওসমানাবাদ, যোরহাট এবং জুনাগড়ের মতো ছোট শহরগুলিতে। এবং তার একটাই কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আইসার-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এম এস শান্থানম জানিয়েছেন, তাঁরা যে মানচিত্রটা তৈরি করেছে তা থেকে একটা ধারণা তৈরি করা যাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এই সংক্রমণ ছড়াতে কত সময় লাগতে পারে। এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। শান্থানম জানান, ভৌগোলিক দিক থেকে মুম্বইয়ের খুব কাছে ওসমানাবাদ। কিন্তু মুম্বইয়ে যখন কোভিড সংক্রমণ ছড়ালে ওসমানাবাদের তুলনায় দিল্লি বা কলকাতায় তার আগে সেই সংক্রমণ পৌঁছবে। কারণ ওই দুই শহরের সঙ্গে মুম্বইয়ের রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল।
তাঁর মতে, ট্রেন হল ‘সংক্রমণ বাহক’। এই পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করলেই দেশের অন্য প্রান্তে সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, সড়কপথে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে অন্য প্রান্তে সংক্রমণ ছড়াতে যদি ২-৩ দিন সময় লাগে, সে ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা ভাল না হলে সেই সংক্রমণ পৌঁছতে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে সমস্ত পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ না করে ঝুঁকিবহুল শহরগুলোতে অগ্রিম পদক্ষেপ সংক্রণ ঠেকাতে সাহায্য করবে বলেই মত গবেষকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy