বাবা সিদ্দিকি (ইনসেটে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে খুনের জন্য দুষ্কৃতীদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের দুই সদস্য। এমনটাই দাবি করল পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, শুটারকে আশ্রয় এবং গাড়ির ব্যবস্থাও করেছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম হল প্রবীণ লোনকর।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবীণই দুই শুটার গুরমেল এবং ধর্মরাজকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শুটারদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন প্রবীণের ভাই শুভম। সিদ্দিকিকে খুনের আগে পুণেয় বেশ কয়েক বার শুটারদের নিয়ে বৈঠক করেন লোনকর ভাইয়েরা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ছিলেন শুভম এবং তিন শুটার তথা সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্ত গুরমেল, ধর্মরাজ এবং শিবম। সেখানেই সিদ্দিকি খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি করা হয় বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীদের সঙ্গে কত টাকা চুক্তি হয়েছিল তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি। তবে এই খুন করার জন্য অগ্রিম হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল হামলাকারীদের। তদন্তকারী এক আধিকারিকের দাবি, হামলাকারীদের মূল লক্ষ্য ছিলেন বাবা সিদ্দিকিই। তাঁর পুত্র জিশানের উপর হামলার লক্ষ্য ছিল না। বাবা সিদ্দিকিকে যাতে শুটাররা চিনতে পারেন, তার জন্য তাদের বাবা সিদ্দিকির ছবিসমেত একটি ফ্লেক্স ব্যানার দেওয়া হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন শুটারের মধ্যে ধর্মরাজ এবং শিব কুমার সেপ্টেম্বরেই মুম্বইয়ে পৌঁছন। তাঁদের সঙ্গে পরে যোগ দেন গুরমেল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ৬-৭ ফুট দূর থেকে গুলি চালানো হয়েছিল। তার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় ধর্মরাজ ‘পিপার স্প্রে’ ব্যবহার করেন। এই ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত শিব কুমার এবং ‘মূলচক্রী’ মহম্মদ জিশান আখতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy