কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিংহ এবং সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। —ফাইল চিত্র
বিতর্কের আঁচ থেকে বিপিন রাওয়তকে বাঁচাতে আজ মাঠে নামলেন মন্ত্রী ভিকে সিংহ, ঘটনাচক্রে যিনি প্রাক্তন সেনাপ্রধানও। সিংহ বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বললে তার মধ্যে রাজনীতি কোথায়! কোন প্রেক্ষিতে ওই কথা, তা দেখা উচিত।’’ সূত্রের খবর, শীর্ষ স্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই মুখ খোলেন সড়ক পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী সিংহ।
বিতর্কের সূত্রপাত কাল। সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন পড়ুয়া থেকে আমজনতা। দিল্লি-সহ কোথাও কোথাও তা হিংসাত্মকও হয়ে উঠেছে। গত কাল দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান রাওয়ত বলেন, ‘‘আমরা দেখছি ভিড়কে নেতৃত্ব দিয়ে শহরে হিংসা ছড়াচ্ছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যারা মানুষকে ভুল পথে চালিত করে, তারা কখনওই নেতা নন। নেতাদের কাজ শান্তি ও সদর্থক পথে মানুষকে চালনা করা।’’ রাওয়তের ওই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয় বির্তক। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, এক জন সেনাপ্রধান এ ভাবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন কী করে? তাঁর কি সেই এক্তিয়ার আছে? সরব হন একাধিক প্রাক্তন সেনাপ্রধান। প্রাক্তন নৌ-সেনা প্রধান এল রামদাস জানান, সামরিক আইনে বলা রয়েছে কর্মরত অবস্থায় রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত দিতে পারেন না কোনও সেনা। তাঁদের মতে, রাওয়তের এই মন্তব্য অনুচিত কাজ। আজ মানবাধিকার কমিশনের একটি অনুষ্ঠানে অবশ্য এ প্রসঙ্গে নীরব থাকেন রাওয়ত। বলেন, ‘‘ভারতীয় সেনা একটি ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক ও সভ্য সেনা। যারা শত্রু সেনার সঙ্গেও জেনিভা শর্ত মেনে আচরণ করে।’’
আরও পড়ুন: হাসিমুখে অসহযোগ চেয়েছি: অরুন্ধতী
সরকার যে রাওয়তের পিছনে রয়েছে প্রকাশ্যে সেই বার্তা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয় প্রাক্তন সেনাপ্রধানকেই। আজ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভি কে সিংহ বলেন, ‘‘বিরোধীরা যে কোনও বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে পারেন। সেনাপ্রধান কোনও একটি বিষয় কোন প্রেক্ষাপটে বলেছেন সেটা দেখা উচিত।
তাঁকে প্রশ্ন করে দেখুন, তিনি কী বলতে চেয়েছেন। আমি তো এর মধ্যে কোনও বিতর্ক দেখছি না। যদি আমি ছাত্রদের বলি সম্পত্তি ভাঙচুর কোরো না, সেটা কি রাজনীতি? নিজেরা ভেবে দেখুন দরকার হলে সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন তিনি কেন ওই কথা বলেছেন।’’ সেনাপ্রধানের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়ে ভি কে সিংহ বলেন, ‘‘আমি ফুটবল খেললেও বিরোধীরা বলবেন সেটি রাজনীতি!’’ অতীতে জমি বিলের সময়েও ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেন সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে জমি বিল পাশের পরে বিভিন্ন গুজব ছড়াতে শুরু করে।
নয়া নাগরিকত্ব বিল ঘিরেও তা শুরু হয়েছে। হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy