জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার শুনানির সঙ্গে জড়িত নন, এমন আইনজীবীদের শুনানির সময় এজলাসে জড়ো হওয়ার প্রয়োজন নেই। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল বারাণসী জেলা আদালত। জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের ‘মা শৃঙ্গার গৌরী অঞ্চলে’ (ওজুখানা ও ভূগর্ভস্থ তহ্খানা) পুজোর অধিকার চেয়ে পাঁচ মহিলা ভক্তের দায়ের করা আবেদনের শুনানির পরে সোমবার নির্দেশ সংরক্ষিত রেখেছেন জেলা বিচারক এ কে বিশ্বেস।
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা শুনানির জন্য বারাণসী জেলা আদালতে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আবেদনের জেরেই বারাণসী দায়রা আদালতে থেকে সরানো হয় ওই ‘স্পর্শকাতর’ মামলা। সোমবার মসজিদ কমিটির তরফে মসজিদ চত্বর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনটির আগে শুনানি করার আবেদন জানানো হয় বারাণসী জেলা আদালতে। প্রসঙ্গত, এর আগে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার জেরে সরানো হয়েছিল বিচারবিভাগীয় পর্যবেক্ষক অজয় মিশ্রকে।
সোমবার দুপুরে বিচারক বিশ্বেসের এজলাসে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি চলে। আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই গত সপ্তাহে বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর ওজুখানা ও তহ্খানা পুরোপুরি সিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায় বহাল রাখলেও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজনে ওজুর জন্য জলের বিকল্প বন্দোবস্ত করতে হবে বারণসী জেলা প্রশাসনকে। এই পরিস্থিতিতে, সোমবার মসজিদ কমিটির আইনজীবী অভয়নাথ যাদব জ্ঞানবাপীর রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আর্জি জানান জেলা আদালতে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিচারক বিশ্বেসের এজলাসে শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy