গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারে তথাকথিত শিবলিঙ্গের (মতান্তরে ফোয়ারা) নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে বারাণসীর আদালত। কিন্তু কোনও ভাবেই মসজিদে নমাজ বন্ধ করা যাবে না। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দলের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফি সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের পরে সোমবার আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর মসজিদের অন্দরের ওজুখানা ও তহ্খানা সিল করার নির্দেশ দেন। নির্দেশে বলা হয়, বারাণসীর জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি সিআরপিএফের এক জন কমান্ডান্ট (সুপার) স্তরের আধিকারিককে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ওই ওজুখানা ও সংলগ্ন এলাকা আদতে শৃঙ্গার গৌরীস্থল। সেখানকার জলাধারের অন্দরে রয়েছে শিবলিঙ্গ। যদিও মসজিদ কমিটি ওই কাঠামোকে ‘পুরনো ফোয়ারা’ বলেছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের অন্দরে বারাণসী আদালত নিযুক্ত কোর্ট কমিশনার এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির বিরোধিতা করে আগেই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া’। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘কোনও ভাবেই যাতে জ্ঞানবাপী মসজিদের কোনও স্থানে নমাজে গিয়ে কাউকে বাধার মুখে পড়তে না হয়, বারাণসীর জেলাশাসককে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, বারাণসীর আদালতের ওজুখানা ‘সিল’ করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার মসজিদ কমিটির তরফে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে একটি পৃথক আবেদন জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy