জ্ঞানবাপী মসজিদের জলাধার। ছবি উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া।
জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার সেই জলাধারে বহু বছর ধরেই নির্বিবাদে রয়েছে ওরা। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’ আর নমাজে আসা ব্যক্তিদের দেওয়া খাবার পেয়ে বেড়েছে সংখ্যাতেও। কিন্তু বিপদ ঘনিয়েছে সেই জলাধারে শিবলিঙ্গের (মতান্তরে ফোয়ারা) অস্তিত্ব মেলার পরে। বারাণসী আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা, তহ্খানা-সহ মসজিদের একাংশ) এলাকায় সিল করার নির্দেশ দেওয়ায় মৎস্যসুলের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
বারাণসীর জেলার সরকারি কৌঁসুলী স্থানীয় আদালতে জ্ঞানবাপীর মাছেদের বাঁচানোর জন্য মঙ্গলবার বিকেলে একটি আবেদন পেশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘ওজুখানার কৃত্রিম জলাধার থেকে ওই মাছগুলিকে সরিয়ে অদূরের গঙ্গা নদীতে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি চাইছে জেলা প্রশাসন।’ ওজুখানার জলাধারের নীচে সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির জন্য ইতিমধ্যেই একটি আবেদন বারাণসী আদালতে বিচারাধীন, সেই কাজ শুরু হলে, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। ফলে ‘মৎস্যদেবতা’র প্রাণসংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
বারাণসী আদালতে বুধবার জ্ঞানবাপী মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিবাদ সংক্রান্ত একাধিক আবেদনের শুনানি থাকলেও স্থানীয় বার অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মঘটের কারণে তা হতে পারেনি। ‘বারাণসী বার অ্যাসোসিয়েশনের’ সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ শর্মা বলেন, ‘‘জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত জরুরি মামলাগুলি শুনানির জন্য আমাদের কাছে একটি আবেদন এসেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংগঠনের পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy