একটি হাতির পুরনো ছবি হঠাত্ করেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাতিটি সাধারণ, কিন্তু তার সাজ-পোশাক নয়।হাতিটির গায়ে চাপানো রয়েছে রঙিন পোশাক। চার পায়ে গলানো প্যান্ট। সামনে দাঁড়িয়ে দুই মহিলা। এই ছবিই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই জানতে চাইছে বিষয়টি কী?
ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মী প্রবীণ কাসওয়ানপুরনো একটি ছবি নতুন করে পোস্ট করেছেন। ছবিটি তুলেছেন রজার অ্যালেন নামে এক ফটোগ্রাফার।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি হাতির পিঠের উপর চাপানো রয়েছে উলের তৈরি চাদর। আর নিচের দিকে তেমন আরও একটি চাদর দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উলের চাদর দু’টি এতটাই বড় যে হাতিটির শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। শুধু পিঠ বা পেটের দিকের অংশই নয়, পায়ে যাতে ঠান্ডা না লাগে তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল রঙের প্যান্টের মতো পোশাক।
#IncredibleIndia. Villagers knit jumpers for Indian elephants to protect the large mammals from near-freezing temperatures. From Mathura. Pic by Roger Allen. @WildlifeSOS pic.twitter.com/oEcAKj7nYk
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) December 28, 2019
প্রবীণ জানিয়েছেন, এটি মথুরার ছবি। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে হাতিটিতে উলের পোশাক পরিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। সেই সঙ্গে ‘হ্যাসট্যাগ ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’-ও জুড়ে দিয়েছেন প্রবীণ।প্রবীণ ছবিটি ২৮ ডিসেম্বর পোস্ট করেছেন। প্রায় সাড়ে তিন হাজার লাইক পেয়েছে পোস্টটি। সেই সঙ্গে কমেন্টও পেয়েছে প্রায় হাজার খানেক।
আরও পড়ুন: করমর্দন করেননি কিন্তু এই কিশোরীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন আবু ধাবির যুবরাজ
প্রবীণের টুইটার হ্যান্ডলে ছবিটি শনিবার পোস্ট হলেও এর আগে ‘কোয়াইট ইন্টারেস্টিং’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডলেছবিটি ২০১৭ সালে ২২ জানুয়ারি পোস্ট হয়েছিল। সেখানেও ফটোগ্রাফার অ্যালেনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: দু’কোটির পোর্সা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার মুখে গাড়ি মালিক
Villagers in India have been busy knitting elephants jumpers to protect them from the cold. (Photo by Roger Allen.) pic.twitter.com/prNL4BIgK4
— Quite Interesting (@qikipedia) January 22, 2017
প্রবীণ এই শনিবার হাতিটির ছবি পোস্টের পরে আরও একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'হাতিটিকে সুন্দর দেখাচ্ছে ঠিকই। তবে এভাবে হাতিকে পোশাক পরানোর দরকার আছে কিনা, তিনি নিশ্চিত নন। কারণ এই পশুরা এই তাপমাত্রায় ইতিমিধ্যেই নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে'।
It looks cute in this old picture. But I am not sure if they needed this much domestication. They are already adapted to these temperatures.
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) December 28, 2019