প্রতীকী ছবি।
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষায় কী ভাবে ধোঁকা দিতে হবে? সে পদ্ধতি জানিয়ে একাধিক ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ উঠল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া বিরুদ্ধে। নেটমাধ্যমে ওই ভিডিয়োগুলি ভাইরাল হতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিভাগ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই আবহে অনলাইনেই পড়াশোনা বা পরীক্ষা চলছে। অধুনা রাষ্ট্রসন্ত তুকাদোজি মহারাজ নাগপুর ইউনিভার্সিটি (আরটিএমএনইউ) নামে পরিচিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রথম বার অনলাইনে পরীক্ষা হয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সার্ভার হ্যাক করেছেন ওই পড়ুয়া। অভিযুক্তের দাবি, এপ্রিলের গ্রীষ্মকালীন অনলাইন পরীক্ষায় নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে একটি স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে কাজ করেছে তাঁর কম্পিউটার, ভাইরাল ভিডিয়োগুলিতে সে পদ্ধতি দেখিয়েছেন তিনি। ইউটিউবার পড়ুয়ার আরও দাবি, কী ভাবে একই প্রশ্ন একাধিক বার তাঁর কাছে এসেছে। যার জেরে তিনি কোন উপায়ে অতিরিক্ত ৪ নম্বর পেয়েছেন। সেই সঙ্গে পরীক্ষার সময় শেষ হয়ে আসার সময়ও কী ভাবে টাইম ল্যাপস পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ৫০ মিনিট নিয়েছেন তিনি। এ সব কারিকুরি ভিডিয়োগুলিতে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, এপ্রিলে যে অনলাইন পরীক্ষায় হ্যাকিংয়ের দাবি করেছেন ওই পড়ুয়া, তা ‘মক টেস্ট’ ছিল।
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের অনলাইন পরীক্ষাতেও একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয় বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, অনলাইন পরীক্ষার সময় একটি সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কম্পিউটার স্ক্রিন লক করে দেওয়া হয়। যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাঁদের পরীক্ষা শেষ করতে হয়। তা ছাড়া, একটি অ্যাপের মাধ্যমেও নজরদারি চলে। তবে সে অ্যাপের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে সার্চ ইঞ্জিনে প্রশ্নপত্রের উত্তর পাওয়া যায়, ভাইরাল ভিডিয়োগুলিতে বহু পরীক্ষার্থীই তা জানতে চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy