অজমেঢ় সেন্ট্রাল জেল। টুইটার থেকে সংগৃহীত ছবি।
টাকা ফেললেই মিলবে যাবতীয় সুবিধা। মিলবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সেল, দামি সিগারেট, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড়, ভাল খাবার দাবার, সব। আর সব কিছুর জন্য রেট চার্টও তৈরি। হোটেল নয়, এটি রাজস্থানের অজমেঢ় জেলের ছবি। জুলাই মাসে এই ঘুষ-চক্র ফাঁস করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। গ্রেফতারও হয়েছেন কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্নীতি দমন শাখার এক অফিসার জানিয়েছেন, অজমেঢ় সেন্ট্রাল জেলের এক নম্বর থেকে ১৫ নম্বর সেলের মধ্যে একটিতে এই ভিআইপি ব্যবস্থা ছিল। সেই সেলটি চক দিয়ে দাগ দেওয়া থাকত। যে সব বন্দিদের আর্থিক জোর আছে, তারা এই সেলে মাসে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে থাকত।
দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা জানিয়েছেন, টাকার লেনদেন হত দালালের মাধ্যমে। এই দালালরা ওই বিশেষ সেলের বন্দিদের পরিবার থেকে টাকা নিয়ে তা জেলের বিশেষ অফিসারদের পৌঁছে দিতেন। টাকার লেনদেন নগদ এবং অনলাইন ট্রান্সফারেরমাধ্যমেও হত বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা।
আরও পড়ুন : ‘জেমস বন্ড’ স্টাইলে চলন্ত অটোর চাকা পরিবর্তন
জেলে টাকা ফেললেই মিলত সিগারেট, তামাক ও অন্যান্য জিনিস। এক প্যাকেট সিগারেটের দাম জেলে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এক প্যাকেট তামাকের দাম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন : ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে গ্রেটা থুনবার্গের চাউনি এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল
দুর্নীতি দমন শাখা এই ঘুষ চক্র এ বছর জুলাই মাসে ফাঁস করে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে চার জন জেলের কর্মী, দু’জন বন্দি ও জেলের এক বন্দির আত্মীয় রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৪ জনকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া চার জেল কর্মীর মধ্যে একজন প্রাক্তন জেলার। জানা গিয়েছে, এই ঘুষ চক্র থেকে মাসে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আয় করত এই চক্র।
দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা জানিয়েছেন, ঘুষ চক্র সামনে আসার পর দুই জেলারকে নজরে রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জেলের আরও কয়েকজন কর্মীর উপরও নজর রাখা হচ্ছে। তদন্ত এখনও চলছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন শাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy