শতাব্দী প্রাচীন ‘নন্দী’ মূর্তি। ছবি: স্বরাজ্যের টুইটার পেজ থেকে নেওয়া
একটি হ্রদের মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল শতাব্দী প্রাচীন দু’টি মূর্তি। কর্নাটকের মাইসুরু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরাসিনাকেরে এলাকায় এই মূর্তি দু’টি পাওয়া গিয়েছে। মূর্তিগুলি আসলে পাথর খোদাই। শিবের সহচর নন্দীর মূর্তি বলেই জানা গিয়েছে।
এলাকার প্রবীণরা জানতেন হ্রদে দু’টি বিশাল বড় বড় নন্দীর মূর্তি রয়েছে। গরম কালে হ্রদের জলস্তর কমে গেলেই মূর্তি দু’টি দেখা যেত। কিন্তু বাকি অংশ মাটির তলাতেই থাকত। মাইসুরুর রাজা জয়চামারাজা ওয়াদিয়ারবার বার চেষ্টা করেছেন মূর্তিগুলিকে মাটি খুঁড়ে বের করার। খনন কাজ শুরুও হয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই গর্তটি জলে ভরে যায়। ফলে খনন কাজ শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
এবার চার দিনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত গত কাল সোমবার বড় বড় মূর্তিগুলি খুঁড়ে বার করা সম্ভব হয়েছে।একটি আর্থ মুভারকেও কাজে লাগানো হয়। সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। দেখা যায়মূর্তি দু’টি একে অপরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন : জেমস বন্ডের পরবর্তী ছবিতে ০০৭-এর ভূমিকায় এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা!
আরও পড়ুন : সলমনের বিপরীতে ‘দবং ৩’-এ আসছেন নতুন অভিনেত্রী
খনন কাজের সময় সেখানে ছিলেন পুরাতত্ব বিভাগের আধিকারিকরা।পুরাতত্ববিদ এমএল গৌড়া জানিয়েছেন, মূর্তিগুলি ১৬ অথবা ১৭ শতকের। একটি করে পাথর থেকে তৈরি মূর্তিগুলি।বড় মূর্তিটি দৈর্ঘ্যে ১৫ ফুট ও উচ্চতায় ১২ ফুট।তবে মূর্তিগুলি সম্পূর্ণ নয়। একটি মূর্তি ৬০ শতাংশ ও অন্যটি ৮৫ শতাংশ খোদাই করা হয়েছে।
স্থানীয়রা প্রস্তাব দিয়েছেন, ওই জায়গায় একটি মন্দির তৈরি করা হোক। আবার পুরাতত্ববিদরা বলছেন, মূর্তিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy