এই হোর্ডিং টাঙানো হয়েছে লখনউয়ে। ছবি- পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভের দায়ে যাঁরা অভিযুক্ত, ধিক্কার জানিয়ে গোটা লখনউয়ে তাঁদের নামধাম হোর্ডিংয়ে ঘোষণা করার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে, আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এমন কোনও আইন নেই, যার দৌলতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই কাজকে বৈধ বলা যায়।
গত সপ্তাহেই ইলাহাবাদ হাইকোর্ট যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে ওই সব হোর্ডিং অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বলে। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ দিন তার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার চেয়েছিল, ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাতে রাজি হয়নি। বরং জানিয়েছে, নিষ্পত্তির জন্য বিষয়টির শুনানি হোক সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে।
আরও পড়ুন- ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে ভরসা নেই বলেই ডোভালকে পাঠিয়েছিল পিএমও’
আরও পড়ুন- ‘অতিমারী’ করোনার গ্রাসে শেয়ার বাজার, সেনসেক্স পড়ল ২৬০০ পয়েন্ট!
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পক্ষে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পরেই ওই হোর্ডিং টাঙানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলে, এমন কোনও আইন নেই যার দৌলতে এই কাজ বৈধ হতে পারে। এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য যাতে একটি শক্তিশালী বেঞ্চ গড়ে দেওয়ার জন্য যাতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে ব্যবস্থা নেন, সেই আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রিকেও নির্দেশ দিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy