বিহারের সাসারামে রামনবমীতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ছবি: পিটিআই।
রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে সংঘর্ষ ছড়াল দেশের নানা প্রান্তে।
বিহারের সাসারামে রামনবমীতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাথর ছোড়াছুড়ির পাশাপাশি দুই গোষ্ঠীর সদস্যেরা একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছে।
অন্য দিকে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রেও রামনবমীকে ঘিরে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে। বরোদার ফতেপুরা ও কুম্ভারওয়াড়া এলাকায় রামনবমীর মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগে ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বরোদার পুলিশ কমিশনার সামশের সিংহ জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্ত মিছিলে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মনীষা ভকিলও। কয়েকটি সংগঠনের দাবি, এই ধরনের সংঘর্ষ আগেও ওই এলাকাগুলিতে ঘটেছে। তা সত্ত্বেও মিছিলের সময়ে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।
পাশাপাশি রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়িয়েছে মুম্বইয়েও। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইয়ের মালাডের মালভানি এলাকায় রাম নবমীর মিছিল বেরোয়। জোরে ডিজে বাজানো নিয়ে আপত্তি করেন কয়েক জন। পাথর ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। তবে পাথর ছোড়ার কথা জানায়নি পুলিশ। ঔরঙ্গাবাদেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রামনবমী ঘিরে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে পুলিশ অফিসারদের উপরে হামলার অভিযোগও উঠেছে। মুম্বইয়ে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২১ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ড্রোন ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজ এক দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্যেরা মালভানি থানার বাইরে ধৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। মুম্বই পুলিশেরও দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
উদ্ধবপন্থী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত মুম্বইয়ের সংঘর্ষ নিয়ে সরাসরি আঙুল তুলেছেন রাজ্যের বিজেপি-একনাথ শিন্দে সরকারের দিকে। তাঁর দাবি, ‘‘এই সংঘর্ষের পিছনে সরকারি মদত রয়েছে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে বিজেপি সরকার রয়েছে। সে জন্যই সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। উদ্ধব ক্ষমতায় থাকার সময়ে রামনবমী শান্তিপূর্ণ ভাবেই পালিত হত।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘উদ্ধবের প্রতি মানুষের সমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে বিজেপি সরকার। তাই তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘর্ষে মদত দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy