শিবসাগরের এনআরসি কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষারত নামনি অসমের মানুষ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
রাত থেকে শিবসাগরে এনআরসি কেন্দ্রের সামনে রাস্তায় বসা মানুষের দল। কারও কোলে নবজাতক। কারও হাতে হাত ছোট ছেলেমেয়েদের। গরম, তেষ্টা, খিদেয় কাঁদছে তারা। অসুস্থ হয়ে রাস্তায় শুয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। পানীয় জলের তীব্র অভাব। একই ছবি যোরহাট, লখিমপুরের বিভিন্ন এনআরসি কেন্দ্রে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যেমন পেরেছেন জল, বিস্কুটের ব্যবস্থা করেছেন। বেলা গড়িয়েছে। খুলেছে এনআরসি কেন্দ্রের দরজা। ধুঁকতে থাকা মানুষগুলো আবারও এক বার তাঁদের ঝুলি খুলে একে একে মেলে ধরেছেন নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র।
নামনি অসমের ওই মানুষগুলোর কেউ ছাগল বিক্রি করে, কেউ গয়না বেচে বা বন্ধক দিয়ে উজানি জেলায় পাড়ি দিয়েছেন। অনেকে গ্রামের বাইরে পা দেননি কখনও। এক রাতের ধাক্কায় তাঁকে ৬০০-৭০০ কিলোমিটার টেনে এনেছে এনআরসি দফতরের ফতোয়া। তাঁদের সাহায্য করতে কবি, মানবাধিকার কর্মী, গবেষক, ছাত্ররা মিলে বিভিন্ন জেলায় নিজেদের মতো করেই হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে খাবার, থাকার জায়গা, গাড়ি ভাড়া, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা তাঁরাই করবেন। ক্ষিপ্ত, শ্রান্ত সংখ্যালঘু গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, যদি ৩১ জুলাই এনআরসি প্রকাশ হয়ে যেত তা হলে তো তাঁদের নাম এনআরসিতে আসতই। কারণ সকলেই খসড়া তালিকায় ছিলেন। এনআরসি সংক্রান্ত মামলার মূল আবেদনকারী, আসাম পাবলিক ওয়ার্কসের সভাপতি অভিজিৎ শর্মার প্রশ্ন, গরিবদের কেন এই হেনস্থা? এটা কি যে কোনও ভাবে আরও নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy