গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে বিকরু গ্রামে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন আট পুলিশকর্মী। সেই ঘটনার তিন-চার দিন আগেই চৌবেপুর থানার প্রধান কনস্টেবলকে ফোনে শাসিয়েছিল কানপুরের ডন। সেই অডিয়ো ক্লিপ সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিকাশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘এত বড় কাণ্ড ঘটাব...।’’ পাশাপাশি এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে যাতে মামলা দায়ের না করা হয়, সে কথাও বিকাশ বলেছিল ওই পুলিশকর্মীকে।
অভিযুক্ত ওই অডিয়ো ক্লিপে চৌবেপুর থানার প্রধান কনস্টেবল রাজীব চৌধরিকে ধমকাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই ক্লিপ শুনে বোঝা যাচ্ছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন। আর সে জন্য ওই মহিলার উপর ক্ষিপ্ত ছিল বিকাশ। এমনকি বড়সড় কোনও অপরাধ করার কথাও বলেছিল বিকাশ। সেই অপরাধের মাত্রা এতটাই বড় হবে, যে হয় তাকে সারা জীবন জেলে থাকতে হবে বা পালিয়ে বেড়াতে হবে। সেই কথা বলতে বলতে একাধিক গালি দিতেও শোনা গিয়েছে বিকাশকে।
ওই ক্লিপে বিকাশ বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘এটা কোন মহিলা যে আমার বিরুদ্ধে মামলা লেখাতে এসেছে? আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা লেখা হচ্ছে... আমি এত বড় কাণ্ড ঘটাব, যে সারাজীবন মনে রাখতে হবে কার মোকাবিলা করতে এসেছে। ও বিকাশ দুবের শিকার হবে। ওকে না মারা অবধি আমি বাড়ি ফিরব না।’’
আরও পড়ুন: লাদাখে নজরদারি, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতি ও হালকা ড্রোন পেল সেনা
এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, শেষ অবধি অবশ্য বিকাশ দুবের প্রভাবে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সংস্থার তরফে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, ওই অডিয়ো ক্লিপ সঠিক ও তা বিকাশ দুবের। এবং পুলিশকর্মীদের নিহত হওয়ার তিন-চার দিন আগের।
বিকাশকে গ্রেফতার করতে গিয়ে তার বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় আট পুলিশ কর্মীর। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পর ৯ জুলাই মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির থেকে কানপুরের গ্যাংস্টারকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ জুলাই সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছিল উত্তরপ্রদেশ। আসার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বিকাশ পালানোর চেষ্টা করে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বিকাশ দুবের।
আরও পড়ুন: স্ট্রেচার ঠেলতে ৩০ টাকা! ছ’বছরের ছেলে দাদুকে নিয়ে গেল ওয়ার্ডে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy