—প্রতীকী ছবি।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক মহিলার সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করেছে পুত্র। আর তারই মূল্য চোকাতে হল বিজেপি নেতা বাবাকে। পুত্রের পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি হিসাবে বাবাকে বহিষ্কার করল দল। লাদাখে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বহিষ্কৃত ওই প্রবীণ বিজেপি নেতার নাম নাজির আহমদ। তিনি লাদাখ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস খানেক আগে এক বৌদ্ধ মহিলাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নাজিরের পুত্র মঞ্জুর আহমদ। পালিয়ে গিয়ে বিয়েও করেন তাঁরা। তারপর থেকেই তাঁদের কোনও খোঁজ নেই। এর পর বিজেপির তরফে ৭৪ বছর বয়সি নাজিরের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। বুধবার দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকের পর লাদাখের বিজেপি প্রধান ফুনচোক স্ট্যানজিন নাজিরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এই নিয়ে দলের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে লেখা, ‘‘পুত্রের কর্মকাণ্ডে যে বিজেপি নেতা জড়িত নন, তা প্রমাণ করার জন্য তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই অনেক ভেবে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিজেপি নেতার পুত্রের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক জনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা লাদাখের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনা এলাকার মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ঐক্যকে বিপন্ন করতে পারে।’’
অন্য দিকে, বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নাজিরের দাবি, তিনি এবং তাঁর পরিবারও বৌদ্ধ মহিলার সঙ্গে ছেলের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিয়ের বিরোধিতা করার পরই ছেলে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। গত এক মাস ধরে ছেলে কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা কোনও ধারণা নেই বলেও জানিয়েছেন নাজির। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ছেলে যখন পালিয়ে গিয়ে ওই বৌদ্ধ তরণীকে বিয়ে করেন, তখন তিনি হজ যাত্রার জন্য সৌদি আরবে ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ছেলের বয়স ৩৯। যে মহিলাকে সে বিয়ে করেছে তার বয়স ৩৫। আমার বিশ্বাস যে ওরা অনেক আগেই সামাজিক বিয়ে করেছিল। সম্প্রতি ওরা আইনি বিয়ে করে। গত মাসে আমি যখন হজ করতে গিয়েছিলাম তখন ওরা আইনি বিয়ে করে।’’
নাজির জানিয়েছেন, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার আগে পদত্যাগ করতে বলা হয়। কারণ হিসাবে জানানো হয়, ছেলেকে খুঁজে না বার করতে পারার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। তিনি বলেন, ‘‘জানি না কেন দল আমার ছেলের বিয়ের জন্য আমাকে দোষারোপ করেছে। আমাদের পুরো পরিবার এই বিয়ের বিরোধিতা করেছিল। আমি ওদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি ওদের খুঁজতে শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy