ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। প্রতীকী ছবি।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। শুক্রবার সকালে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে মোকা। রবিবার দুপুরে এই ভয়ঙ্কর রূপেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঝড়। বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কায়াকপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে মোকা। ঝড়ের প্রভাবে দেশের ৬ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনি এবং রবিবার ত্রিপুরা, মিজোরামেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ অসমে।
বৃষ্টির সঙ্গে ওই এলাকাগুলিতে বইবে দমকা হাওয়া। শুক্রবার আন্দামানে হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিমি। রবিবার ত্রিপুরা, মিজোরাম, দক্ষিণ মণিপুরে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিমি।
পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হবে কি না, তা জানা যায়নি। তবে সপ্তাহান্তে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা মোকার প্রভাবে নয় বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগর, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগরে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে স্থলভাগে আঘাত হানার সময় মোকার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কিমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy