Advertisement
E-Paper

শশিকলার মুক্তি ঘিরে জল্পনা 

২০১৬-র ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রী পদ দখলের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত শশিকলা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৯
Share
Save

কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু জেলে ভাল আচরণের জন্য পাঁচ মাস পর্যন্ত সাজা মকুব করার অধিকার আছে জেল কর্তৃপক্ষের। ফলে দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন এডিএমকে নেত্রী শশিকলা যে কোনও দিনই মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা। এই খবরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে।

২০১৬-র ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে মুখ্যমন্ত্রী পদ দখলের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত শশিকলা। কিন্তু বেঙ্গালুরুর আদালতে দুর্নীতি মামলায় তাঁর কারাদণ্ডের আদেশ সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেইসঙ্গে শশিকলা ও তাঁর পরিবারের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন জয়ললিতার আর এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী পনীরসেলভম। এডিএমকে থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পনীরসেলভম গোষ্ঠী। কে পলানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেন শশিকলা। কিন্তু পরে ফের এডিএমকে-র সঙ্গে ফের মিশে যায় পনীরসেলভমের গোষ্ঠী। পলানিস্বামীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হন পনীরসেলভম।

শশিকলার আত্মীয় টিটিভি দিনকরণ এডিএমকে-র নির্বাচনী প্রতীকের জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে এএমএমকে দল গঠন করেন। ২০১৭-র উপনির্বাচনে আর কে নগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন দিনকরণ। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন জয়ললিতা। ফলে এএমএমকে এডিএমকে-র পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু লোকসভা ভোট ও তার পরে হওয়া একাধিক উপনির্বাচনে হারে দিনকরণের দল।

কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এখন এডিএমকে-র জোটসঙ্গী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শশিকলার মুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই তাঁর বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে আয়কর দফতর। মাদ্রাজ হাইকোর্ট জয়ললিতার আত্মীয় জে দীপক ও জে দীপাকে তাঁর আইনসম্মত উত্তরাধিকারী বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু চেন্নাইয়ে প্রয়াত নেত্রীর বাসভবনে কোনও সংগ্রহশালা তৈরি করা যায় কি না, তাও ভেবে দেখতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার পরেই ওই বাসভবন অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেটিকে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পরিণত করার পাশাপাশি একাংশে একটি সংগ্রহশালাও তৈরি করা হচ্ছে। অনেকের মতে, ওই ভবনে শশিকলার ফেরা রুখতেই এই পদক্ষেপ।

যে দুর্নীতি মামলায় শশিকলা জেলবন্দি তাতে জয়ললিতাও দোষী সাব্যস্ত হন। তাই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে বেশি কথা বলতে নারাজ এডিএমকে নেতারা। গত মাসে প্রবীণ এডিএমকে নেতা ও মৎস্যমন্ত্রী ডি জয়কুমার বলেন, ‘‘শশিকলা ও তাঁর পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’ অন্য দিকে দিনকরণের ঘনিষ্ঠ এক এএমএমকে নেতার বক্তব্য, ‘‘শশিকলা ফিরলে পরিবর্তন হবেই। যাঁরা এডিএমকে-র টিকিট পাবেন না তাঁরা এএমএমকে-কেই বেছে নেবেন। আয়কর মামলা দিয়ে শশিকলার গতিরোধ করা যাবে না।’’

V. K. Sasikala AIADMK Jayalalithaa

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।