হিমালয়ের বুকে ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ শহর। ছবি: সংগৃহীত।
নৈনিতাল, মুসৌরি কিংবা চারধাম যাত্রা, ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য উত্তরাখণ্ড। কিন্তু সেই রাজ্যেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। হিমালয়ের বুকে ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ শহর। তাই এ বার রাশ টানা হতে পারে পর্যটকদের সংখ্যাতেও। ফলে, আপনি চাইলেই চারধাম যাত্রা করতে পারবেন, এমন না-ও হতে পারে।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ চারধাম যাত্রায় শামিল হয়ে থাকেন। কিন্তু জোশীমঠের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারের বৈঠকে পর্যটনে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, আগামী দিনে কোনও শহর বা পর্যটনকেন্দ্রের ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করে তবেই পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া উচিত। তা না হলে আগামী দিনে জোশীমঠের মতো বিপর্যয় ঘনাতে পারে নৈনিতাল, মুসৌরির মতো গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে মাথা তোলা অন্য শহরেও।
জোশীমঠের বিপর্যয়ের জন্য উত্তরাখণ্ডে উন্নয়নের নামে বেলাগাম নির্মাণকার্য এবং পাহাড়ের ক্ষতি করাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। শনিবারের বৈঠকে তাঁরা জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে উন্নয়ন হয়েছে অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে। চারধাম রেল প্রকল্পের পরিকল্পনাও বর্জন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হিমালয় পর্বতমালার বিস্তীর্ণ এলাকাকে অবিলম্বে পরিবেশ সংবেদনশীল অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা প্রয়োজন, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। যথেচ্ছ ভাবে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ, বাড়ি এবং হোটেল নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। শনিবার স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ আয়োজিত বৈঠকে এই আলোচনা হয়েছে।
জোশীমঠে বিপর্যয় কবলিত পরিবারগুলির ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যে ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, জোশীমঠ থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৯টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণও।
চলতি মাসের শুরু থেকেই জোশীমঠের রাস্তা এবং বাড়িঘরগুলিতে হঠাৎ ফাটল দেখা দিতে শুরু করে, মুহূর্তে চওড়া হয় সে সমস্ত ফাটল। কোনও কোনও বাড়ি চোখের সামনে ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞেরা জানান, শহরটি ধীরে ধীরে হিমালয়ের বুকে বসে যাচ্ছে। ক্রমশ নীচের দিকে ডুবছে জোশীমঠ। শহরের বাসিন্দাদের ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে আসতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy