তপোবনে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ের ৬ দিন পরেও খোঁজ মিলল না তপোবনে বিদ্যুৎপ্রকল্পের সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের। তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ২০০-রও বেশি।
উদ্ধারকাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। ওই দিন ধৌলিগঙ্গায় জলস্তর আচমকা বাড়তে শুরু করায় উদ্ধারকারীদের সতর্ক করা হয়। তড়ঘড়ি উদ্ধারকাজ সাময়িক ভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি কী, তা খতিয়ে দেখার জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে।
ধৌলিগঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকায় উদ্ধারকাজের গতিও মন্থর হয়ে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকারীদের রণনীতি বদলাতে হয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকে কাদা এবং পাথর সরানোও বিপদের আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। কারণ ভিতরে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ জল উদ্ধারকারীদের বিপদ বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা পাথরগুলো কেটে পথ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করে আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, আটকে থাকা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা তত বাড়ছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি নন্দাদেবী পর্বত থেকে আচমকা তুষারধস নেমে আসায় ধৌলিগঙ্গা এবং ঋষিগঙ্গায় হড়পা বানের সৃষ্টি হয়। এই বিপর্যের জেরে জোশীমঠ, তপোবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তপোবনে নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎপ্রকল্পের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিখোঁজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy