— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বহিষ্কার করা হল দল থেকেও। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে।
ধৃত বিজেপি নেতা উত্তরাখণ্ডের আলমোরা জেলার ব্লক প্রধান। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড পুলিশের আধিকারিক দেবেন্দ্র পিঞ্চা। শীঘ্রই অভিযুক্ত নেতাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ অগস্ট। সে দিন ছাগল চরাতে কাছেই এক জঙ্গলে গিয়েছিল নির্যাতিতা কিশোরী। সঙ্গে ছিল তার ভাইও। তখনই চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করেন স্থানীয় ওই নেতা। ঘটনায় ছ’দিন চুপ থাকার পর শেষমেশ ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মেয়েটির পরিবার। নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়েছে।
ওই নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৪ ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। ওই নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি মহেন্দ্র ভাট। তিনি বলেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে দল। নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধকে কোনও মতেই ক্ষমার চোখে দেখা হবে না। ওই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিরোধীরা দয়া করে না জেনে রাজনৈতিক মন্তব্য করবেন না। আমাদের যা করার ছিল, করেছি। এ বার আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।’’
তবু শ্লেষের সুর কংগ্রেসের গলায়। উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের মুখপাত্র গরিমা মেহরা দাসাউনি বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র দল থেকে বহিষ্কার করেই দায় ঝেড়ে ফেলা যায় না। এরাই বলত, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও!’ কিন্তু নিজের দলের নেতারা অন্যায় করলে আগে তাদের বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy