— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্ত পরিস্থিতিতে বেআইনি অনুপ্রবেশের চেষ্টা বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। এ বার ত্রিপুরায় ধরা পড়লেন আরও সাত অনুপ্রবেশকারী। ধৃতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি এবং দু’জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ভুক্ত। শনিবার তাঁদের আটক করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার আগরতলা রেল স্টেশনে। সেখানে রেল পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দুই সন্দেহভাজন। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। জেরার মুখে ওই দুই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন, তাঁরা বাংলাদেশের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে এসেছেন। আগরতলা রেল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের পর ট্রেনে চেপে কলকাতা যাওয়ার ছক কষেছিলেন ওই দুই অনুপ্রবেশকারী।
শনিবার ত্রিপুরার ঢালাই জেলায় ধরা পড়েন আরও পাঁচ জন। সেই সঙ্গে দালাল সন্দেহে আটক করা হয়েছে দুই ভারতীয়কেও। ধৃতদের সকলেই বাংলাদেশের মৌলবীবাজার এবং সিলেট জেলার বাসিন্দা। তাঁরা ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছেন সকলেই। ধৃতদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক একের পর এক অনুপ্রবেশের ঘটনায় সীমান্তে বেড়েছে নজরদারিও।
উল্লেখ্য, জুলাই মাস থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এখনও অনেকেই ভারতে আসার চেষ্টা করছেন বলে দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির। ফলে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় প্রায়শই একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়ছেন সীমান্তবর্তী নানা এলাকায়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সে রাজ্যে শুধু গত এক মাসেই আটক হয়েছেন ৩৫ জন অনুপ্রবেশকারী। সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং অসম পুলিশের উদ্যোগে তাঁদের কয়েক জনকে আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুধু অসমেই নয়, ত্রিপুরা থেকেও সম্প্রতি এমন প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত ২০ অগস্ট পশ্চিম ত্রিপুরা থেকে ১৮ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। সঙ্গে ছিলেন পাঁচ ভারতীয় দালালও। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন থেকেও ধরা পড়েছেন ১১ জন বাংলাদেশি, তাঁদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy